অধ্যাদেশ বলে পরিচালিত ‘জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি’কে আইনী ভিত্তি দিতে সংসদে নতুন বিল উত্থাপিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের প্রণীত অধ্যাদেশটি সামরিক শাসনামলে প্রণীত বলে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে সংসদে বিলটি আনা হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনের আজকের বৈঠকে ‘জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৮’ নামের বিলটি উত্থাপন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে গভর্মেন্ট এডুকেশনাল এন্ড ট্রেনিং ইস্টিটিউশনস অর্ডিন্যান্স ১৯৬১-এর অধীন পরিচালিত জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির কার্যক্রম এমনভাবে অব্যাহত থাকবে যেন তা এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত।
বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের নভেম্বরে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে এই একাডেমি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে বিলে উক্ত একাডেমি পরিচালনা ও প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের জন্য একটি পরিচালনা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এই বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী।
তবে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী উভয়ে থাকলে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আর সেটা না হলে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান হবেন। একাডেমির মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এই একাডেমির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরে শাখা থাকতে পারবে। একাডেমি পচিালনার জন্য একাধিক কমিটি গঠনের সুযোগ রাখা হয়েছে এই বিলে।