বগুড়ার ধুনটে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত এনজিও কর্মী আরিফুর রহমান আরিফ (৩২) ৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। মঙ্গলবার ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরিফ ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী ফকিরপাড়া এলাকার মৃত খোকন হাজীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে রুমনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলের বাবা রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা ওই প্রেমের বিয়ে অস্বীকার করে। এবিষয় নিয়ে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা ও খোকন হাজীর দুই পরিবারের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে গত ১৩ জুন আবারও রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা তার লোকজন নিয়ে খোকন হাজীর পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় খোকন হাজীর লোকজনও পাল্টা হামলা চালালে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গার ভাগিনা এনজিও কর্মী আরিফুর রহমান আরিফসহ তিন জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আরিফকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা বাদী হয়ে গোসাইবাড়ী ফকিরপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মোজা মিয়ার ছেলে বিপ্লব হোসেন, আমিনুর রহমানের ছেলে সম্রাটসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকর্মকর্তা এসআই খোকন কুন্ডু জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আরিফুর রহমান আরিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।