বয়স তখন মাত্র ১২। তখনই গভীর মানসিক অবসাদ তাকে চেপে বসেছিল।
আর এই অবসাদ এতটাই ভয়ানক ছিল যে বহুবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি ভোগ ম্যাগাজিনে অবসাদ নিয়ে এমনই একটি লম্বা লেখা লিখেছেন আলিয়া ভাটের বোন তথা মহেশ ভাট ও সোনা রাজদানের বড় মেয়ে শাহিন ভাট।
শাহিন ভোগ ম্যাগাজিনে লিখেছেন, আমি ১২ বছর বয়স থেকে গভীর অবসাদের মধ্যে ছিলাম। বহুবার আত্মহত্যা করতেও গেছি। ঘরের মধ্যেই মনে হত যেন বাঘের মত কিছু একটা আমায় গ্রাস করতে আসত। মনে হত ভয়ানক, অন্ধকারযুক্ত কোনও একটা ভবিষ্যৎ যেন আমার জন্য অপেক্ষা করা আছে। আমি সেই অন্ধকার ভবিষ্যৎ থেকেই পালিয়ে বাঁচতে চাইতাম।
শাহিন জানিয়েছেন, তিনি একবছর আগে সোশ্যাল সাইটেও তার জীবনের ডিপ্রেশন কাটানো নিয়ে একটা লম্বা পোস্ট লিখেছেন।
শুধু তাই নয়, অবসাদ নিয়ে নিজের লেখায় সেলিব্রিটি সেফ অ্যান্থনি বারডেন ও ফ্যাশান ডিজাইনার কেট স্পেডের মৃত্যুর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন শাহিন ভাট।
ভোগ ম্যাগাজিনে শাহিনের লেখা ওই আর্টিক্যালের হেডলাইন ছিল ”It could have been me” অর্থাৎ এই জায়গায় আমিও থাকতে পারতাম।
শাহিন লিখেছেন, বারডেনের মুত্যু খবর যেদিন শুনেছিলাম সেদিন কেঁদে ফেলেছিলাম। এটা ভেবে কষ্ট হয়েছিল ডিপ্রেশনের কাছে কেউ হেরে গেছে, মনে হয়েছিল ওই জায়গায় হয়ত আমিও থাকতে পারতাম।
এদিকে, দিদি শাহিনের এই আর্টিক্যলটি সোশ্যাল সাইটে শেয়ার করেছেন খোদ আলিয়া ভাট। কোনওরকম অস্বস্তি না রেখে নিজের অবসাদ নিয়ে লেখার জন্য দিদি শাহিনের প্রশংসা করেছেন আলিয়া। মেয়ে শাহিনের লেখাটি শেয়ার করেছেন বাবা মহেশ ভাটও।