ইরানের নেতা আয়াতুল্লা খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই; আর অবৈধভাবে যে সরকারের জন্ম হয়েছে সব মুসলিম জাতির প্রচেষ্টায় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তা নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হবে।
শুক্রবার ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঈদের নামাজ শেষে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান।
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোর সরকার ও জনগণের মধ্যে বিভিদ সৃষ্টির কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। এই ষড়যন্ত্র নস্যাত করার একমাত্র উপায় হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করা।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ফিলিস্তিন জবরদখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করা। কিন্তু ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতায় বোঝা যায়, যে সরকার বৈধতার সংকটে থাকে তা চিরকাল টিকে থাকতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, কিছু নতজানু আরব সরকারের পক্ষ থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা কিংবা বায়তুল মুকাদ্দাসে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের ঘটনা ইহুদিবাদী সরকারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
তিনি ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ইরানের পুরনো অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদি নির্বিশেষে প্রকৃত ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মধ্যে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান করতে হবে। অদূর ভবিষ্যতে এরকম একটি গণভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রকৃত সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবৈধ ইসরাইল সরকারের পতন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। হিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই; আর অবৈধভাবে যে সরকারের জন্ম হয়েছে সব মুসলিম জাতির প্রচেষ্টায় এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তা নিশ্চিতভাবে ধ্বংস হবে।