মুসাফির ইসকুল এর উদ্যোক্তা ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষার্থী মুসাফির ইমরান ।
“ঈদের সময় গরিব শিশুরা অর্থের অভাবে পছন্দের পোশাক কেনার সুযোগ পায়না তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো ছাড়াও জন সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।, “আমরা চাই সবাই এটুকু অন্তত অনুধাবন করুক, যে এরাও মানুষ, এরাও আমাদের মতো ঈদ উদযাপন করতে চায়। আমরা মানুষের মনে অন্যদের প্রতি মানবতা ও দরিদ্রদের জন্য মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চাই, চাই হাসি-আনন্দ ছড়িয়ে দিতে।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের আনন্দ দিতেই ‘মুসাফির ইসকুল’ নামের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ-তরুনী।
যেখান থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়া চিকিৎসা নিজেদের ঈদের পোশাক সহ দেশে প্রচলিত সকল উৎসবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মুসাফির ইসকুল।
গত মঙ্গলবার (১২জুন) সকালে ‘শিশুদের ঈদ আনন্দ’ আনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জেরিনা সুলতানা। মুসাফির ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা মুসাফির ইমরানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ইংরেজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর নিরঞ্জন বিশ^াস, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বি.এম. হান্নান, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অসীম বিভাকর, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম ও গাজীপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ইমদাদুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুসাফির ইশকুলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্নি আক্তার, যুগ্ন সম্পাদক আফরিনা উমির্, সদস্য আরিফুল ইসলাম, নিবির, ভাওয়াল আশরাফুল, ইমরান, সুমি, উম্মে আছিম, রিফাত, বাবু, সালাম প্রমুখ।
মুসাফির ইশকুল’র প্রতিষ্ঠাতা মুসাফির ইমরান বলেন, আমরা চাই দেশের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে। তিনি আরো বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি মুসাফির ইশকুল একদিন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।
“ঈদের নতুন জামা হাতে নিয়ে শিশুদের হাসিমাখা মুখ দেখতে পাওয়াই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও আগামী দিনে কাজ করে যাওয়ারও প্রেরণা যোগায়।”
এসময় প্রায় ৪০-৫০ জন্য শিশুদের মাঝে এই ঈদ উপহার দেওয়া হয়। ঈদ সামগ্রীর মধে বস্ত্র (প্যান্ট-শার্ট-জুতা-টুপি) ও খাদ্য সামগ্রী (দুধ-চিনি-সেমাই-নুডুলস) বিতরণ করা হয়।