বাংলাদেশে প্রতি তিনজনে এক জন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। প্রথম আন্তর্জাতিক ‘ন্যাশ’ (যকৃতে প্রদাহ) দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার কুমিল্লা লিভার ক্লাব আয়োজিত ‘ফ্যাটি লিভারের প্রাদুর্ভাব – প্রতিরোধ ও প্রতিকার’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
কুমিল্লা লিভার ক্লাবের সভাপতি ডা. মো. ইজাজুল হকের সভাপতিত্বে কুমিল্লা ক্লাবে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিএমএ’র সভাপতি ডা. আবদুল বাকী আনিস। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান এবং কুমিল্লা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আতাউর রহমান জসিম। সভায় বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুমিল্লা লিভার ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরহাদ আবেদীন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. বেলালুল ইসলাম। উপস্থাপনা করেন লুৎফুল বারী হিরু।
সেমিনারে আরো জানানো হয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ইজাজুল হকের নেতৃত্বে ‘গ্রামীন জনগোষ্ঠীতে ফ্যাটি লিভারের হার নির্ণয়’ শীর্ষক গবেষণা পরিচালত হয়। গবেষণায় দেখা যায় শতকরা ৩৩ জন মানুষ ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা এবং মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী। সিরোসিস ও লিভার ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে লিভারে চর্বি জমাজনিত প্রদাহ। অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়ার কারণে লিভার বা যকৃতে যে প্রদাহ সৃষ্টি হর তাকে স্টিয়াটো হেপাটাইটিস বলে।
এ রোগের আগের স্তরের নাম হচ্ছে ফ্যাটি লিবার বা লিভারে চর্বি রোগ। সবজি জাতীয় খাবার ও নিয়মিত শরীর চর্চাই এ রোগের মূল চিকিৎসা। জনসচেতনতার মাধ্যমে জীবনযাত্রার ধারন পরিবর্তন করে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।