সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের ফলে রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারী বর্ষণে প্রবর্তক মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, ২ নম্বর গেট, হালিশহরসহ প্রায় এলাকা মধ্যরাতে পানিতে তলিয়ে ছিল।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপটি মৌসুমি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় তার প্রভাবে চট্টগ্রাম জুড়ে বিরামহীনভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপটি রোববার ভোর রাতে সীতাকুন্ড উপকূল দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাস কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯ দশমিক ৮ মিলিলিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ও রাত ১২টা থেকে সোমববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬০ মিলিলিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবারও সারাদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে রোববারের ভারী বৃষ্টিপাতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর বৃষ্টির চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিম্নাঞ্চল হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়।
বিরামহীন বৃষ্টিতে বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর এলাকায় বেশিরভাগ বাসার নিচ তলা তলিয়ে যায়। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদেরকে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
পানি ওঠেছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষকে বেশি কষ্ট করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।
এই জলাবদ্ধতার জন্য নগীরর খালগুলো পরিষ্কার না হওয়া, নালা নর্দমা ভরাটকে দায়ী করছেন নগরবাসী।