আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের কলঙ্কের পাশাপাশি আরও একটি নতুন কলঙ্কের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। বারবার শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে, সেই সাব্বির রহমান নাকি ড্রেসিংরুমে তারই সতীর্থ মেহেদি মিরাজকে পিটিয়েছেন! এজন্যই শেষ টি-টোয়েন্টিতে একাদশে রাখা হয়নি সাব্বিরকে। ভারতের একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটে ক্রিকবাজ এই নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করলে তোলপাড় শুরু হয়।
দুজনের মাঝের এই ঘটনা অবশ্য বড় করে দেখেনি বিসিবি। ম্যাচ রিপোর্টেও এর কোনো উল্লেখ ছিল না। তারপরেও গতকাল শনিবার রাতে সাব্বির এবং মিরাজ একসঙ্গে ফেসবুক লাইভে এসে নিশ্চিত করেন, যা হয়েছে পুরোটাই ছিল একটি ‘ভুল বুঝাবুঝি’।
মিরাজ বলেন, ‘আজকে আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। আমাদের মেয়েরা আজকে এশিয়া কাপ জিতেছে। আমরা এমন অনেক ম্যাচ হেরেছি। বিভিন্ন টুর্নামেন্টের ফাইনালে আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল না। এবার সম্ভবত দুর্ভাগ্য কেটে গেল। সাব্বির ভাই আমাকে অনেক ভালোবাসে আদর করে। আসলে এটা একটা ভুল বুঝাবুঝি।’
সাব্বির রহমান বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। আমরা একদিন বিশ্বকাপ নিয়ে আসব। মিরাজ অনেক ভালো ছেলে। দশ বছর ধরে তাঁর সাথে আমার পরিচয়। সে আমার ছোট ভাইয়ের মত। সে অনেক ভালো খেলে। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
এর আগে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বরাত দিয়ে ৯ই জুন এ ঘটনার কথা জানায়। বর্তমানে ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ফ্যানকে মেরে নিষিদ্ধ থাকা সাব্বির ড্রেসিংরুমে মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে জড়ান বাকবিতণ্ডায়। যেটা নাকি মারামারি পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মাঠে এক কিশোর দর্শক পেটানোর অভিযোগ উঠেছিল জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাব্বির রহমানের উপর। ম্যাচ রেফারিকে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনার জেরে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন তিনি। বাদ পড়েছেন বিসিবির কেন্দ্রিয় চুক্তি থেকেও। এর আগে ২০১৬ সালে বিপিএলে হোটেলে তরুণী অতিথি এনে ১২ লাখ টাকা জরিমানা দেন। গত বিপিএলে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাজে আচরণ করে ম্যাচ ফি জরিমানা আর ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট পান।