কাশির সিরাপের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে বিক্রি হয় ‘ককটেল’ নামে। যেগুলো সাধারণত অটো ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা সেবন করে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গতকাল মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিভিল সার্জন মজিবুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সরকার মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় এখন মাদকসেবীরা বিকল্প পথ খুঁজছে। এ সব মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। সভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মানজারুল ইসলাম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে।
আশঙ্কার খবর হলো— এখন অনেক ওষুধের দোকান আছে, যেগুলোতে অনঅনুমোদিত ঘুমের ট্যাবলেট কিংবা তন্দ্রাচ্ছন্ন হওয়ার মতো সিরাপ, ট্যাবলেট আছে। মাদকসেবীরা এখন অহরহ মাদক কিনতে না পেরে ওই সব ওষুধের ওপর নির্ভর করছে।
সভায় উপস্থিত বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান রাজাপুর-শংকুচাইল এলাকায় মাদকবিরোধী মোবাইলকোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীরের কাছে অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তৃৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে সারা দেশে কুমিল্লা জেলা প্রথম হয়েছে। তবে এতে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চাই না।
কারণ এখনো লাখ লাখ টাকার মাদক আটক হচ্ছে।
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, মাদক তখনই নির্মূল করা সম্ভব হবে যখন দলমত নির্বিশেষে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারব।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, গোলাম সারোয়ার, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, ওমর ফারুক, নির্মল পাল, জিএম সিকান্দার উপস্থিত ছিলেন।