ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল আসিফকে এফডিসির কাছে তাঁর অফিস থেকে গ্রেপ্তার করে।
সিআইডির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, শফিক তুহিন তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে বুধবার সকালে আদালতে নেওয়া হবে।
মামলার বাদী শফিক তুহিন বলেন, আসিফকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সিআইডির পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় শফিক তুহিন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসিফ ছাড়া আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে।
শফিক তুহিন তাঁর মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১ জুন রাত ৯টার দিকে একটি চ্যানেলের ‘সার্চ লাইট’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ অনুমতি ছাড়াই তাঁর সংগীত কর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তর করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
শফিক তুহিন তাঁর অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ঘটনা জানার পর তিনি ২ জুন রাতে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির বিষয়টি উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। তাঁর সেই পোস্টের নিচে আসিফ অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ১০টার দিকে আসিফ তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। লাইভে তাঁর (শফিক তুহিন) বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দেন। আসিফ লাইভে তাঁকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন বলে হুমকি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, তাঁকে (লাইভে) যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। আসিফের এই বক্তব্যের পর তাঁর ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে (শফিক তুহিন) হত্যার হুমকি দেন। আসিফের লাইভ লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উসকানি দিয়েছেন। তাঁর (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।