জীবিকার তাগিদে মানুষ কত চমকপ্রদ পন্থাইনা অবলম্বন করে। সচরাচর হাতির পিঠে চড়ে হাতি দিয়ে অর্থ উপার্জনের দৃশ্য চোখে পড়লেও মরুভুমির জাহাজখ্যাত উট দিয়ে অর্থ উপার্জন তেমন একটা চোখে পড়ে না।
মানুষের বাড়ি-বাড়ি, হাট বাজারের দোকানে-দোকনে, পথচারীদের উট প্রদর্শনী করে অর্থ উপার্জন করছে উটের মালিক, যেনো অনেকটা হাতি প্রদর্শনের মতো। তবে শুধু উট প্রদর্শনেই শেষ নয়, নানা রোগের উপশমের জন্য উট দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে অর্থ আয় করছে সেই উট মালিক। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো বাজারে চলছে উটের এই ঝাড়ফুঁক।
উপজেলার দেয়াড়া, যুগিখালী, কুশোডাঙ্গাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাবে উট দেখিয়ে চাল, ধান, টাকা সংগ্রহ করছেন তারা। উপজেলাধীন খোরদো দলুইপুর এলাকায় উট মালিক যশোরের অভয়নগর থানার নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী ও তার সহযোগীরা ভ্রাম্যমান উট প্রদর্শনী করে সাধারণ মানুষের চিত্তবিনোদন দিয়ে আয়ের পথ খুঁজছেন।
উটের মালিক আকবর আলী জানান, প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের ওই উট বিভিন্ন মেলায় তাবু ঘিরে দশ টাকা হারে নিয়ে প্রদর্শনী করে থাকেন। এখন মেলা না হওয়ায় ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ ভাবে মানুষের বাড়ি বাড়ি, বাজারের দোকান ও রাস্তায় রাস্তায় প্রদর্শনী করে কিছু রোজগার করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, দিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ধান, চাউল, নগদ টাকাসহ ২/৩ হাজার টাকার মতো আয় হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুধু উট দেখিয়ে টাকা বা অন্যান্য জিনিস নেওয়া হচ্ছে না।
তৈল নিয়ে উটের নাক, মুখের সংস্পর্শে ঘোরালেই ব্যথানাশক বা নানা ব্যাধি ভাল হওয়ার নিমিত্তে উটমালিকের ইশারায় ঝাড়ফুঁক দিচ্ছে উট। আসলে এর সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল মানুষ কেউ কেউ সেটা করছেন। অনেকই দ্বিধাদ্বন্দে, আবার কেউ আরবের মরুভূমি প্রান্তরে থাকা উট ‘কাজ হলেও হতে পারে’ এমন সরল বিশ্বাসে ঝাড়ফুঁক নিচ্ছেন।
প্রশ্নবিদ্ধ ও আশ্চর্যজনক ঝাড়ফুঁকের বিষয় জানতে চাইলে আকবর আলী বলেন, ‘আরবের মরু প্রান্তরের সংস্পর্শে থাকা আল্লাহর সৃষ্ট প্রাণি উট অছিলা মাত্র, সুস্থ করার মালিক আল্লাহতালা। ’