চট্টগ্রাম নগরের যানজট নিয়ন্ত্রণ আনার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করে।
গত ২২ মে সকালে নগরভবনে সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নগরের ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সাতটি সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নগরে যানজটের আকারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চসিকের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে আছে- নগর জুড়ে কমপ্রিহেনসিভ ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু, আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতিকে সমন্বিতকরণ, চলতি রমজান মাসে সল্টগোলা রেলক্রসিং এলাকায় রেল গেইট বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মালবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা, ইস্টার্ন রিফাইনারি, পদ্মা, যমুনা, মেঘনা অয়েল কোম্পানি ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ড্রাই ডকের সকল পরিবহনের ক্ষেত্রে দিনের বেলায় চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা, সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা মাটি অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং ওয়াসার চলমান পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে এমন সড়কে অন্তত এক পাশ দুই লাইনে যান চলাচলে উপযোগী করা।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামশুদ্দোহা বলেন, ‘সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন বিভিন্ন সংস্থার ওপর নির্ভরশীল। তবুও আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি, অন্যান্য সংস্থাও কাজ করছে। এর মধ্যে ওয়াসার পাইপ লাইন স্থাপনে কয়েকটি সড়কের কাজ শেষ করা, চসিকের সংস্কার কাজে মাটি-আবর্জনা দ্রুত সরিয়ে ফেলা, আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতিকে সমন্বিতকরণে অনুরোধ করাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তাছাড়া রমজান মাসে যানজট নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রতিনিয়ত সকল সংস্থাকে মনিটরিং করছি। ’
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন বিকাল হতেই যানজট শুরু হয়। নগরের অধিকাংশ সড়কই যানজটে অস্থির হয়ে উঠে।
বিশেষত বহদ্দারহাট থেকে শাহ আমানত সংযোগ সেতু সড়ক, বহদ্দার হাট মোড়, মুরাদপুর মোড়, জিইসি মোড়, লালখান বাজার মোড়, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট, স্টেশন রোড, জুবিলী রোড, মুরাদপুর-অক্সিজেন মোড় রোড, ইপিজেড মোড়সহ নগরের অধিকাংশ সড়কেই যানজট লেগে থাকে। ফলে ইফতারের আগ মুহুর্তে অস্থির হয়ে উঠেন নগরবাসী।