প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টায় ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন।
এর মধ্য দিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের খুলে দেওয়া হয় মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি সার্ভিস।
মেঘনা নদীতে এই ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে জেলা সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দুরত্ব কমে আসবে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যেতে হলে ৭০ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিতে হতো। ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে মাত্র ৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা সদর থেকে গজারিয়ায় পৌঁছানো হবে।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করার জন্য নৌমন্ত্রীকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হয়। এতে উভয় উপজেলার জনসাধারণ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার বিকল্প সংযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
গজারিয়ায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিষয়গুলো বিবেচনায় এ ফেরি সার্ভিস চালু করা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ করে পদ্মাসেতু নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগের প্রবেশ দ্বার হবে গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ নৌ-ফেরি সার্ভিস রুট।
এ রুটের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার এবং ফেরি পারাপারে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জ ও গজারিয়া ফেরিঘাটে দুটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক নির্মিত ‘স্বর্ণচাপা’ মিনি ইউটিলিটি টাইপ ফেরি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া রুটে এ সার্ভিস চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে এ রুটে যানবাহন সংখ্যা বাড়লে ফেরির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের সময় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মৃনাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজম, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক ও জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান আনিস, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা, গজারিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল উসলাম প্রমুখ।