পানিতে ভেসে বেড়ায় অসংখ্য প্লাস্টিকের ব্যাগ। খাবার মনে করে অথবা খাবারের সঙ্গে সেগুলোই খেয়ে ফেলত পাইলট তিমিটি। একটি-দুটি করে তার পেটে জমা হয় ৮০টি প্লাস্টিকের ব্যাগ।
এতগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগ গিলে ফেলায় পাইলট তিমিটি আর কিছু খেতে পারছিল না। অনেক চেষ্টা করেও সেটিকে বাঁচানো গেল না।
ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে। গুগলের তথ্য অনুসারে, পাইলট তিমি আদৌ তিমি নয়; বরং এগুলো সামুদ্রিক ডলফিন পরিবারের সদস্য। এগুলো স্তন্যপায়ী প্রাণী।
বিবিসির খবর বলছে, চংখলা প্রদেশের একটি খাল থেকে উদ্ধারকারীরা পাইলট তিমিটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় তিমিটি বমি করে পাঁচটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দেয়।
সমুদ্রবিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, পাইলট তিমির গিলে ফেলা ব্যাগগুলোর ওজন ছিল প্রায় ৮ কেজি। এ কারণে খাবার খাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
থাইল্যান্ডের বাসিন্দারা প্রচুর প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করেন। নিয়ন্ত্রণ করা না হলে আগামী ১০ বছরে সাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণ তিন গুণ হতে পারে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়। প্লাস্টিক ব্যাগের কারণে বছরে শত শত জলজ প্রাণী মারা যায়। গত মাসে দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারের ওপর কর বসানোর কথা ভাবছে।
গত সোমবার ছোট্ট পুরুষ পাইলট তিমিটিকে না খাপ নামের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই খালে পাইলট তিমিটি সাঁতার কাটতে পারছিল না।
পরিবেশবাদী কর্মকর্তারা নৌকা দিয়ে পাইলট তিমিটিকে ভাসিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন। রোদ থেকে সেটিকে ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পুরো সপ্তাহ ধরে পরিবেশবাদী কর্মকর্তারা পাইলট তিমিটির যত্ন নেন। তবে গত শুক্রবার বিকেলে তিমিটি মারা যায়।
সমুদ্রবিষয়ক জীববিজ্ঞানী থন থামরংনাওয়াসাওয়াত এএফপিকে বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগের কারণে পাইলট তিমিটি পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছিল না। কারও পাকস্থলীতে ৮০টি প্লাস্টিক ব্যাগ থাকলে সেটি মরে যাওয়ারই কথা।