গরমে রোদের তীব্রতা আর ঘামের কারণে প্রাণ হাসফাঁস অনেকেরই। একটু শীতলতার ছোঁয়া পেতে প্রাণ যেন মরিয়া হয়ে ওঠে। কী খাবারে, কী বিশ্রামে- সর্বত্রই যেন শীতল থাকা চাই! গরমে নিজেকে শীতল রাখতে ঠান্ডা শরবত, জুস ইত্যাদি তো খাওয়া হয়ই। তবে একই খাবার প্রতিদিন খেলে একঘেয়ে ভাব চলে আসতে পারে। তাই মাঝে মাঝে একটু স্বাদ বদলে নিতে পারেন।
ডাবের পানিতে একটুখানি লবণ আর লেবু মিশিয়ে নেড়ে নিন, আর দেখুন কী চমৎকার স্বাদবদল হয়ে যাচ্ছে। চাইলে দিয়ে নিতে পারেন একটু পুদিনাপাতাও। দারুণ সতেজ একটা পানীয় তৈরি হয়ে যাবে চট করেই!
আম কুচি করে কেটে নিয়ে খানিকটা ছেঁচে নিলেই তা শরবত বানানোর জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর জুসার থাকলে তো চিন্তাই নেই। তারপর পানি মিশিয়ে লবণ, গোলমরিচ বা কাঁচামরিচ আর একটু চিনি গুলে দিলেই তৈরি আপনার কাঁচা আমের শরবত। বরফ মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
সাধারণ লেবু শরবতে ভিন্ন স্বাদ আনতে ট্যাং যোগ করতে পারেন। কিংবা বিট লবণ আর পুদিনা পাতার তরতাজা স্বাদ শরবতকে আরো মজাদার বানাতে পারে।
তরমুজের দানাগুলো ফেলে দিয়ে রসটা চিপে গ্লাসে ভরে শুধু শুধুই পান করতে ভালো লাগে। চিনি মেশানো যায় যদি তরমুজটা পানসে হয়, তা নাহলে চিনি ছাড়াই ঠিক আছে। মজাদার আর স্বাস্থ্যকর এইসব পানীয় আপনার গরমকালকে অনেকটাই শীতল বানাবে নিঃসন্দেহে।
ত্বকের গরম মোকাবিলায় এক বোতল গোলাপজল ফ্রিজে রেখে দিন, বাসায় থাকার সময়টা মাঝেমধ্যেই পানির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ঝাপটা দিন। শান্তি পাবেন।
গোসলের পানি শীতল করতে বালতিতে বোতল ভরে ঠান্ডা পানি ঢেলে নিন। কয়েকটা নিমপাতা, গোলাপ, চাঁপা বা আর কোনো ফুল ছড়িয়ে দিন তাতে। সুঘ্রাণে মনের শান্তি, আর ত্বকও খুশি হবে।
ত্বকে র্যাশ হলে নিমপাতা বেটে লাগিয়ে নিন আক্রান্ত জায়গায়। সাথে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে দিলে আরো ভালো। গরমকালে এই নিম-হলুদের বাটা মিশ্রণ আপনার ত্বকের নিয়মিত সঙ্গী হতে পারে।
চোখে শসা রেখে কয় মিনিটের বিশ্রাম করার অভ্যাস করুন প্রায় নিয়মিত। বাইরে থেকে এসে যখন গরমে আর ধুলায় চোখ জ্বালা করে বেশি, তখন এটা খুব উপকারী।