‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

7e315843eb27154b490273e90e28c044-59e0393f488f2

ঢাকা: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায়ী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব ও পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের ১১তম দিনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী।

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবর:

ঢাকা: তেজগাঁও বিজি প্রেস এলাকায় র‍্যাব-২-এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কামরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

র‍্যাব বলছে, নিহত কামরুল মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বাসা রাজধানীর মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায়।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান রাত দেড়টার দিকে কামরুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃতদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রয়েছে।

ময়মনসিংহ: দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে শহরের পুরোহিতপাড়া রেল কলোনি এলাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজন (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

ডিবির ভাষ্য, রাজন ময়মনসিংহ শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। তাঁর নামে ৮-৯টি মামলা রয়েছে।

ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমানের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেল কলোনি এলাকায় ডিবি অভিযানে যায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি ছোড়ে। ডিবিও পাল্টা গুলি করে। এতে রাজন নিহত হন।

ডিবি বলছে, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ধারালো হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

নেত্রকোনা: দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মদনপুর মনাং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হন। তাঁদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এস আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ওই এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে দুই ব্যক্তি নিহত হন।

আশরাফুল আলমের ভাষ্য, নিহত ব্যক্তিরা নেত্রকোনা জেলার নয়। তবে তাঁরা মাদকের বড় ব্যবসায়ী।

পুলিশ বলছে, বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনায় তাদের চার সদস্য আহত হয়েছেন।

দুই ব্যক্তির মৃতদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

ঝিনাইদহ: কালীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামিম হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শামিম শহরের শিবনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ বলছে, শামিম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, ১৭ বোতল ফেনসিডিল ও ৪৮০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে।

ওসি বলেন, পুলিশের একটি টহল দল সড়কে টহল দিচ্ছিল। এ সময় সন্দেহভাজন কয়েক ব্যক্তিকে দেখে তাঁদের থামতে বলে পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে শামিম নিহত হন।

নিহত শামিমের স্ত্রী শামছুন্নাহারের ভাষ্য, তাঁর স্বামী নছিমন-করিমন গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করতেন। কালীগঞ্জ শহরের বিহারি মোড়ে তাঁর দোকান রয়েছে। বুধবার বিকেলে সাদাপোশাকের কয়েকজন ব্যক্তি তাঁকে দোকান থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *