রমজানে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে ব্রয়লার, দেশি ও কক জাতের মুরগির। বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের মাছের দামও।
ছোট আকারের এক হালি কক মুরগি রমজানের আগে ৬০০ টাকার মধ্যে মিললেও এখন দাম অন্তত ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। দেশি জাতের একটি মুরগি রমজানের আগে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন পড়ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা।
রমজানের আগে থেকেই ১৫-২০ টাকা বেশি দামে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির মাংস। এই দাম ১৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না—এমনটাই জানা গেছে খোঁজ নিয়ে।
গত সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি সকালবেলা ১৫৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পরে সিটি করপোরেশনের বাজার অভিযানের পর প্রতিটি মুরগির দোকানে এই দাম লিখা হয় ১৪৫ টাকা করে। সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মুরগি বিক্রেতা আনিস মিয়া বলেন, মুরগির খাবারের দাম বাড়তি। এই কারণে প্রায় দেড় মাস ধরেই মুরগির দাম বেড়েছে। আর কমেনি।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি রুই মাছ আগে কেজিপ্রতি ২০০-২২০ টাকা দরে বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকায়। বড় রুই আগে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন দাম ৩২০-৩৪০ টাকা। পাবদা ৩০০-৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৩০০-৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০-৫০০, মলা ২৫০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি শিং ও মাগুর মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা এবং চাষের মাছগুলো ৪০০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যেসব সরপুঁটি মাছ ১৩০-১৫০ টাকা কেজি দরে আগে বিক্রি হয়েছে সেগুলো এখন ১৮০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০-১১০ টাকার তেলাপিয়া এখন কেজি ১২০-১৩০ টাকা এবং কই ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
হাতিরপুল কাঁচাবাজারের মাছ বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, রমজানে মাছের সরবরাহ একটু কম। আবার চাহিদা বেশি। তাই দাম একটু বাড়তি।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে মাছ কিনতে আসা এক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, পাবদা মাছ কিনলাম। ৪০০ টাকা কেজি। এই মাছ আগে ছিল ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি।