প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দু’দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার কলকাতা যাচ্ছেন। পর দিন শনিবার পশ্চিমবঙ্গে কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে যোগ দেবেন তিনি। তবে সেখানে শেখ হাসিনাকে আপ্যায়নের সব প্রস্তুতি থাকলেও খাবারের মেনুতে থাকছে না কোনো মাংস।
পশুর মৃতদেহ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তীব্র এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বিতর্কের প্রভাব যাতে শেখ হাসিনার সফরে না পড়ে সে জন্য তার খাবারের মেনু থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাংসই বাদ দিয়েছে।
বুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনে শনিবার উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা। এখান থেকে তাতে দেয়া হবে ডি-লিট ডিগ্রি।
এদিন রাষ্ট্রীয় অতিথিদের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজ। এতে থাকবে না কোনো মুরগির বা খাসির মাংস। তবে ওই মধ্যাহ্নভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আদৌ কিছু খাবেন কিনা তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি। কারণ, এখন পবিত্র রমজান মাস। তা সত্ত্বেও সব আয়োজন রাখা হবে। এদিনের মেনুতে থাকবে বর্ধমানের বিখ্যাত মিষ্টি মিহিদানা ও সীতাভোগ। এ ছাড়া থাকবে কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া ও সর ভাজা। এর সঙ্গে থাকবে বাংলার মাছ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সাধন চক্রবর্তী বলেছেন, সম্প্রতি মরা পশুর মাংস নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ খাবার মেনুতে আমরা মুরগি বা খাসির মাংস রাখিনি।