ফেসবুকে নজর রাখছে পুলিশ

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

facebook-main

ফেসবুকে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে প্রতিনিয়ত যেসব পোস্ট করা হচ্ছে, তার প্রতিটি নজরের আওতায় রয়েছে। আর এ কাজটির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন পনেরো হাজারের মতো ‘ফেসবুক পুলিশ’। শুধু নজরদারিই নয়, ফেসবুকে পোস্ট করা কোন জিনিস আপত্তিকর বা বীভৎস বলে মনে করলে কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে মুছে দেয়।

নাম প্রকাশ না করা এক ‘ফেসবুক পুলিশ’ জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিন আমাদের দেখতে হয়, এমন সব জিনিস যা আমাদের আতংকিত করে, স্তম্ভিত করে। মানুষের শিরশ্ছেদ, শিশুদের নিয়ে তৈরি পর্নোগ্রাফি, প্রাণীদের ওপর অত্যাচার- এরকম নানা কিছু।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখন একটা যন্ত্রের মতো হয়ে গেছি। এক ক্লিকে এসব ছবি বা ভিডিও দেখি- আরেক ক্লিকে সিদ্ধান্ত নেই, এটা থাকবে না মুছে দেয়া হবে।’ যারা এই নজরদারির কাজ করেন তাদের প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও বা ফটো দেখতে হয়।

এই ‘ফেসবুক পুলিশ’দের একটি অফিস আছে জার্মানির বার্লিন শহরে। অবশ্য বার্লিনের ঠিক কোন জায়গায় তা প্রকাশ করা হয় না। তাদের প্রতিদিন এমন সব জিনিস দেখতে হয় যা দেখা খুব কঠিন। কিন্তু তাদের কাজের লক্ষ্য এটাই- যাতে ওই সব ভয়াবহ পোস্ট অন্যদের দৃষ্টির আড়ালে থাকে।

সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁসের ঘটনার পর থেকে এ কাজে বহু নতুন লোক নিতে শুরু করেছে ফেসবুক। যাদের কাজ হবে এখানে লোকে কি পোস্ট করছে তার ওপর নজরদারি করা- প্রয়োজনে খারাপ কনটেন্ট মুছে দেয়া। ফেসবুক বলছে, বর্তমানে এ কাজ করছে ১৫ হাজার লোক- যা শিগগীরই বাড়িয়ে ২০ হাজারে উন্নীত করা হবে।

এরা অনেকেই ফেসবুকের ফুলটাইম কর্মী নন। অনেক সময় এ কাজ করার জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানকে ঠিকেদারি দেয়া হয়েছে এবং এই ফেসবুক পুলিশরা কাজ করছেন সেই সব ঠিকেদার প্রতিষ্ঠানের হয়ে। ফেসবুকের কর্মীরা সমাজের কোন শ্রেণী থেকে আসা তার ওপর এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, অধিকাংশই শ্বেতাঙ্গ বা এশিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *