জাতীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব। বাল্যবিবাহ রোধের মাধ্যমেই মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
এমপিদের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ রোধ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস ও যুব উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে সংসদ।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ‘ইউএনএফপিএ’র নির্বাহী পরিচালক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. নাতালিয়া কানেম-এর সাথে মতবিনিময়কালে স্পিকার এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট-এর কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ কিভাবে বাল্যবিবাহ রোধ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস ও যুব উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তা তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ড. নাতালিয়া কানেম বলেন, মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে- যা প্রশংসনীয়।
এর আগে স্পিকার বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ রোধে ইউএনএফপিএ-এর ভূমিকার প্রশংসা করেন। ভবিষ্যতে ইউএনএফপিএ -এর সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ইউএনএফপি’কে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় ড. শিরীন শারমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই হচ্ছে না বরং মানব সম্পদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। রাজস্ব খাতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার এরই মধ্যে দারিদ্রতার হার ৪০ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল।