গাজীপুর অফিস: গাজীপুর জেলার সকল রাস্তার দুই পাশের ফুটপাত কোটি টাকার বানিজ্যস্থল। বিশেষ করে সড়ক-মহাসড়কের ফুটপাতে প্রতিদিন বসে ভাসমান দোকানপাট। হকার বলে পরিচিতি এই সব দোকানপাট সব সময় রমরমা ব্যবসা করছে। মাঝে মাঝে ভ্রম্যমান আদালত বা কখনো পুলিশও হকার উচ্ছেদ করে। তবে উচ্ছেদ হলেও বেশীক্ষন পালিয়ে থাকতে হয় না। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। তারপর আবার সেই স্থানেই বসে চলে বানিজ্য। প্রায়ই এই উঠা-বসার কাজটি হয়ে থাকে। কে তুলে, আর কে বসায়, কেন বসায়, তা নিয়ে আমাদের আজকের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গাজীপুর নগর, মহানগর ও বড় রাস্তার দুই পাশে নিয়মিত বসছে ফুটপাত। ফুটপাত থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার চাঁদা উঠে। বিশেষ করে ফুটপাতকে ঘিরে গড়ে উঠা কিছু সংগঠন চাাঁদার উপরই চলে। তবে বিশেষ করে পুলিশ এই ফুটপাত বসায়। পুলিশের দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক চাঁদা আদায়েই চলে ফুটপাতের ব্যবসা। পুলিশের সঙ্গে কতিপয় অসৎ নেতা, কতিপয় নামধারী সাংবাদিক সহ প্রভাবশালী বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সমন্বয়েই চলে ফুটপাতে কোটি কোটি টাকার কাঁচা ব্যবসা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এই ব্যবসার ফসল পকেটে উঠে যায়। বিনা পুঁজিতে কাাঁচা টাকার এই ব্যবসার পরিধি দিন দিন বাড়ছে।
তথ্য রয়েছে, এই ফুটপাতের ভাসমান ব্যবসায়ীদের প্রায়ই উঠিয়ে দেয় পুলিশ। উঠার পর আবার বসে যায় ও চলে রমরমা ব্যবসা। উঠার পর আবার বসে, কি ভাবে চলে এই ফুটপাত ব্যবসা, এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলছেন, বকেয়া পড়ে গেলে বা নতুন দারোগা আসলে উঠতে হয়। পরে সব ঠিকঠাক করে বসতে হয়।
আবার সম্প্রতি দেখা যায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপারও হকার উচ্ছেদ করেছেন। মাট পর্যায়ের অফিসারদের হকার বসানোর খবরে তিনি নিজেই মাঠে নেমে পড়েন হকার উচ্ছেদের জন্য।
আবার গাজীপুর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত হকার উচ্ছেন করে। ভ্রাম্যমান আদালতে গাড়ি দেখলেই হকাররা জিনিসপত্র নিয়ে দৌড়ে পালায়। আদালত চলে গেলে আবার বসে।
এই বিষয়ে হকারদের নিকট থেকে চাঁদা আদায়কারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ফাঁড়ি পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয় প্রতিদিন সন্ধ্যায়। তাহলেই আর সমস্যা থাকে না। আর ভ্রাম্যমান আদালততো আর সব সময় আসে না। যখন আসে তখন পালিয়ে যেতে হয়। এই পালানোটা ৫/১০ মিনিটের জন্য। এতে সমস্যা হয় না।