বাংলাদেশের বিভিন্ন বণ্যপ্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাচারের ঝুঁকিতে রয়েছে সুন্দরবনের বাঘ। সারা বিশ্বে বাঘের চামড়াসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যাপক চাহিদা থাকায় চোরাকারবারিদের নজরে রয়েছে এসব রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
বাংলাদেশের প্রাণীবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাঘ সব সময় ঝুঁকিতে ছিল এখন আরো বেড়েছে।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি রবিবার বিকেলে পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে পাচার হয়ে আসা বিভিন্ন প্রজাতির ২২০টি কচ্ছপ আটক করে। বিজিবি কর্মকর্তারা বলেন, ভারত থেকে কচ্ছপের চালানটি এপারে আসছে এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে বিজিবি ওত পেতে থাকে। চোরাকারবারিরা নিরাপত্তা বাহিনী দেখে কয়েকটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। বস্তার ভেতর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে বন্যপ্রাণিদের পাচারের ঝুঁকিতে থাকার বিষয়টি আবারো সামনে চলে আসে। ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট, বাংলাদেশের সদস্য ও প্রাণীবিজ্ঞানী ড. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ভারতে আইনের প্রয়োগ বেশি তাই সবায় নজর রাখে। ভারত থেকে রপ্তানি করা বেশ কঠিন তাই বাংলাদেশ থেকে করে থাকে চোরাকারবারিরা। তিনি বলেন কচ্ছপের চাহিদা রয়েছে দেশে। কারণ বাংলাদেশে একটি সম্প্রদায়ের মানুষ এগুলো খেয়ে থাকেন। দক্ষিণ পূ্র্ব এশিয়ার সব দেশে এগুলোর ভাল চাহিদা রয়েছে। পাখি, বিভিন্ন পশুর চামরা, গুঁইসাপের চামড়া পর্যন্ত পাচার হয় বলে তিনি জানান।