প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও স্মার্টপ্রযুক্তির যুগে আধুনিক কালের প্রতিটি ঘরেই স্মার্ট ডিভাইসের উপস্থিতি রয়েছে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ প্রাপ্ত বয়সেও ফোনের দেখা পেতো না।
অথচ এখন হাত বাড়ালেই শিশুরাও পেয়ে যাচ্ছে স্মার্টফোন, ট্যাবসহ আধুনিক সব মোবাইল ডিভাইস। এসব স্মার্ট পণ্য শিশুদের উপর প্রভাব ফেলছে কিনা এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত অাছে। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্ট ডিভাইস শিশুদের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ‘আর্কাইভস অব ডিজিজেস ইন চাইল্ডহুড’ নামের সাময়িকীতে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
একেবারে বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তি ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। তবে এ ক্ষেত্রে শিশুদের উপর নজরদারি রাখার কথা বলা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, শিশুর মানসিক বিকাশ যখন থেকে শুরু হয় সেই সময় অর্থাৎ শিশুর বয়স দুই বছর পেরুলেই তারা স্মার্ট ডিভাইস থেকে জ্ঞান নিতে পারে। গবেষণায় মোট ৮২ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। ২ থেকে তিন বছর বয়সের ওই শিশুদের পিতামাতা প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে তথ্য দেন।
এতে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশই বাসায় থাকা পিতামাতার স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে। সেখানে তারা অ্যাপগুলো নিয়মিত খুঁজে পায়। স্মার্ট ডিভাইসগুলো ব্যবহারের পর ওই সব শিশুর মধ্যে অন্য শিশুদের তুলনায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন খেয়াল করেন গবেষকরা।
এতে দেখা যায়, স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করা ২৯ মাসের শিশুদের দিয়ে ১ বছর নিয়মিত টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করিয়ে চারটি দক্ষতা সঞ্চালন করা সম্ভব যেগুলো তার সামাজিকীকরণে ভূমিকা রাখে।