দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপপুঞ্জে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম বোমারু বিমান নিয়ে মহড়া চালিয়েছে চীন। সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে শনিবার বোমারু বিমানগুলোর উপস্থিতি ওই অঞ্চলের বিমানঘাঁটিতে দেখা যায়।
এদিন দূরপাল্লার, পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এইচ৬-কে মডেলের বিমানসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েকটি বোমারু বিমান দ্বীপগুলোর বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। এরপর এগুলো সাগরে সামরিক মহড়া চালায়।
চীনের বিমানবাহিনীর দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি এইচ৬-কে এর কয়েকটি বোমারু বিমান মহড়ার জন্য দ্বীপে অবতরণ করেছে। এতে করে এই অঞ্চলে আমাদের শক্তিমত্তার উন্নয়ন ঘটবে এবং যেকোনো সময় হামলা ও প্রতিহত করতে সক্ষম হব আমরা। সাগরের এই জলসীমার মালিকানা নিয়ে কয়েকটি দেশের বিরোধ চলছে। অনেক দিন ধরেই এই অঞ্চলে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি এবং সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে চীন।
অন্যদিকে এ অঞ্চলে ‘সামরিকীকরণ’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অঞ্চল দাবি করে চীন। আর যুক্তরাষ্ট্রের দাবি সেটি আন্তর্জাতিক সীমারেখার অন্তর্ভুক্ত।
চীন জানায়, এইচ৬-কে’র পাইলটরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পশ্চিম প্রশান্ত সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের লড়াইয়ের কারণেই এই প্রশিক্ষণ। তবে মহড়া ঠিক কোথায় হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। চীনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে প্রায়ই সেখানে রণতরী পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।