নীলফামারী: ঢাকা উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে উড়োজাহাজে বিকট শব্দ হতে থাকে। এরপরও ইউএস-বাংলার ওই উড়োজাহাজ দুবার উড্ডয়নের চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে উড়োজাহাজটি নিরাপদে টার্মিনালে ফিরে আসে। ফ্লাইটটিতে ৭৪ জন যাত্রীসহ মোট ৭৮ জন আরোহী ছিলেন। এর পৌনে তিন ঘণ্টা পর ৫৮ জন আরোহী নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় উড়োজাহাজটি।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এমন বেকায়দায় পড়ে ওই উড়োজাহাজ।
ইউএস-বাংলার এই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজের শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘উড্ডয়নের আগে যাত্রীরা নিজ নিজ আসনে বসে পড়েন। বিমান ক্রুর নির্দেশনায় আমরা সিট বেল্ট বাঁধি। রানওয়েতে চলার সময় উড়োজাহাজটি বিকট শব্দ করতে থাকে। এভাবে দুবার চেষ্টা করেও উড্ডয়নে ব্যর্থ হয়ে এটি ফিরে আসে।’
পরে ইউএস-বাংলার টিকিট ফেরত দিয়ে অন্য এয়ারলাইনসে ঢাকায় যাত্রা করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনিসহ মোট ২০ জন যাত্রী টিকিট ফেরত দেন।
যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি স্বীকার করেন ইউএস-বাংলার সৈয়দপুর স্টেশন ইনচার্জ জাকির হোসেন। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, যে ধরনের কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল, সেটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ত্রুটি সারিয়ে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি আবার ঢাকায় রওনা দেয়। কী ধরনের ত্রুটি ছিল, তা জাকির হোসেনের কাছ থেকে জানা যায়নি।
তবে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের একটি সূত্রে জানা গেছে, ড্যাশ-৮ মডেলের উড়োজাহাজটি অ্যাপ্রোচের জন্য যে পাওয়ার বা শক্তির প্রয়োজন, তা পাচ্ছিল না। তাই দুবার উড্ডয়নে ব্যর্থ হয় এটি। পরে ঢাকা থেকে প্রকৌশলীরা এসে উড়োজাহাজটির ত্রুটি দূর করেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক মো. শাহীন আহমেদ বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি সারানোর পর ফ্লাইটটিকে উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হয়।