অপেক্ষার অবসান। আজই সেই মহা প্রতীক্ষার বিয়ে। হ্যারি এবং মেগানের চার হাত এক হবে। বিয়ের আসর বসছে উইন্ডসর প্রাসাদের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে। তা নিয়ে ব্রিটেনজুড়ে উন্মাদনা। যেন উৎসব লেগে গিয়েছে। প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন।
এরই মধ্যে একটা ছোট্ট সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে সেটারও সমাধান করে দিলেন মেগান নিজেই। প্রথাটা প্রায় সবার জানা। বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের পাশে হেঁটে আসেন তার বাবা। সেই মতো ব্রিটেনের যুবরাজ প্রিন্স চার্লস এবং মেগান মার্কেলের বিয়েতে মেয়ের পাশে হেঁটে অনুষ্ঠানে ঢোকার কথা ছিল বাবা টমাস মার্কেলের। কিন্তু শারীরিক কারণের জন্য এই বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি। শেষ মুহূর্তে তবে কে হাঁটবে মেগান মার্কেলের পাশে? তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন খোদ কনে। সোজা চলে যান হবু শ্বশুরের কাছে। বিয়ের দিন তার পাশে হাঁটার জন্য যুবরাজ চার্লসকে অনুরোধ করেন। মেগানের সেই অনুরোধে সম্মতি দিয়েছেন যুবরাজ চার্লসও। শুক্রবার কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
উইন্ডসর প্রাসাদে যুবরাজ হ্যারি ও মেগান মার্কেলের বিয়েতে সাবেক মার্কিন অভিনেত্রীর বাবা টমাস মার্কেল উপস্থিত থাকবেন কি না, তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বাবার অনুপস্থিতির কথা ঘোষণা করেন মেগান নিজেই। জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য এই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না টমাস। এখন তাঁর বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। এরপরেই যুবরাজ চার্লসের দ্বারস্থ হন মেগান। অনুরোধ জানান তাকে। রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘বিয়ের দিন তার পাশে হাঁটার জন্য প্রিন্স অব ওয়েলসকে অনুরোধ জানিয়েছেন মেগান মার্কেল। এভাবে তাকে রাজপরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি প্রিন্স অব ওয়েলসও।’ তবে এই প্রথম নয়। এর আগে, ২০১৬ সালে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মেয়ে আলেকজান্দ্রা ন্যাশবুলের বিয়েতে তার পাশেও হেঁটেছিলেন ৬৯ বছর বয়সি যুবরাজ চার্লস।
এদিন রাজপরিবারের তরফে এই ঘোষণার আগে মনে করা হচ্ছিল, বিয়ের দিন গাড়ি থেকে নেমে চ্যাপেলে ঢোকার সময় মেগান মার্কেলের পাশে হয়তো তার মা ডোরিয়া রাডলান হাঁটবেন। তবে রাজপরিবারের ভাবী পুত্রবধূ পাশে কাকে নিয়ে হাঁটবেন, তা নিয়ে কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই বলে জানা গেছে। আফ্রিকান-আমেরিকান ডোরিয়া রোডলান পেশায় একজন যোগব্যায়াম প্রশিক্ষক ও সমাজকর্মী। মেগান যখন খুবই ছোট, তখনই থমাসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে গত সপ্তাহেই লন্ডনে উড়ে এসেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই যুবরাজ চার্লস ও ক্যামেলিয়া এবং যুবরাজ উইলিয়াম ও কেটের সঙ্গে ক্ল্যারেন্স হাউজে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। দেখা হয়েছে খুদে জর্জ ও শার্লটের সঙ্গেও। শুক্রবার উইন্ডসর প্রাসাদে ডোরিয়ার সঙ্গে দেখা হবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে। রাজপরিবারের অন্য সদস্যরাও ইতিমধ্যেই উইন্ডসর প্রাসাদে এসে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।