বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শতাধিক সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে ঘের করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর ফলে ছোট ছোট খালে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
বংশ বিস্তার হচ্ছেনা দেশীয় নানা জাতের মাছের। কৃত্রিম জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছেন শ’ শ’ পরিবার। ব্যাঘাত ঘটছে রবি শস্যসহ ধান চাষেও। উপজেলার বহরবুনিয়া ও জিউধরা ইউনিয়নে স্থানীয়দের দেওয়া বাঁধে কমপক্ষে ২৫টি শাখা খালে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী ও বহিরাগতরা এই এলাকায় শতশত বিঘা জমিতে চিংড়ি মাছের ঘের করেন। অথচ তাদের অনেকেরই এক ছটাক জমি নেই এসব ঘের এলাকায়। ঘের মালিকরা তাদের প্রয়োজনে পানি ওঠা নামা করান। খালেও কেউ জাল নিয়ে মাছ ধরতে পারেনা। জমির মালিকদের থাকেনা কোন কর্তৃত্ব।
জমি চাষে ট্রাক্টর ব্যবহার করতে দেওয়া হয়না। ফসল বাঁচাতে সারও দিতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছেন জমির মালিক বহরবুনিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ খান।
জিউধরা ইউনিয়নের উত্তর ডেউয়াতলা খালে দেওয়া হয়েছে ৫টি বাঁধ। বহরবুনিয়া ইউনিয়নের শনিরজোড় থেকে ফুলহাতা ভারানী খালে ৮টি বাঁধ দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। এ ছাড়াও সিরাজ মাস্টারের বাজার এলাকায় মিয়ার খালটির মুখেই বাঁধ দিয়ে রাখা হয়েছে ৬ বছর যাবত। ২৮৯নং মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জানের খালের মোহনায় কালভার্টের নীচে বাঁধ দিয়ে খালেই ঘের করছে প্রভাবশালীরা। এ ছাড়াও আনন্দখালী খাল, লাইনের খাল, বহরবুনিয়া-বারইখালী সীমান্ত খালে অসংখ্য বাঁধ দিয়ে ব্যাপক জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করা হয়েছে।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আমলকিতলা খালটি আলীর বাজারে বাঁধ দেওয়ায় ফাল্গুন, চৈত্র মাসে মাঠে পানি ওঠেনা। পুকুরগুলোও শুকিয়ে যায়। খাবার পানিরও সংকট দেখা দেয়। আষাঢ়, শ্রাবন মাসে হাল চাষ ও বীজ রোপন ব্যাহত হয়। শতাধিক পরিবার পানিবন্দি থাকেন।
এ সম্পর্কে সহকারি কমিশনার(ভূমি) মো. আলমগীর হুসাইন বলেন, ইতোমধ্যে ২টি বাঁধ কাটা হয়েছে। আরো কিছু অভিযোগ পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ বাঁধ কেটে দেওয়া হবে।