ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা দুটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। মামলা দুটির পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে আগামী ৫ জুলাই।
আদালত সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার এ দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চান আইনজীবীরা। এর বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে বলে, খালেদার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে; যা কার্যকর করা হয়নি।
আসামিপক্ষ আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত খালেদা জিয়ার নামে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, সেই আদেশ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুই বছর আগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, রাজাকার-আলবদর নেতা-কর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে।
আর ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকার আদালতে আরেকটি নালিশি মামলা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। এ মামলাতেও আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা কারাগারে আছেন। বুধবার এ মামলায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন।
খালেদার আইনজীবীরা বলছেন, ছয়টি মামলায় খালেদাকে জামিন নিতে হবে। এর তিনটি কুমিল্লায়, ঢাকায় দুটি এবং নড়াইলে একটি। এগুলোতে জামিন পেলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।