ঢাকা: বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের হত্যার হুমকি দেন। আমরা এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা নেয়নি। আমাদের অভিযোগ শুনেছে। আধা ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে কিন্তু জিডি নিতে বলা হলে তারা বলেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জিডি নিতে পারব না।’
আজ বুধবার বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক এ অভিযোগ করেন।
ঢাকা
নুরুল হক বলেন, ‘প্রথমত আমি রাষ্ট্রের একজন নাগরিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। আমাদের জিডি না নিয়ে পুলিশ দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।’
হুমকি বা হয়রানিতে আন্দোলন থামবে না জানিয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হলেই কেবল আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব।’
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘নিরাপত্তা না দিয়ে পুলিশ যে আচরণ দেখিয়েছে, তা আমরা ভালোভাবে নিইনি। আমাদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য।’ কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন থাকবে বলে জানান তিনি।
হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী, হাজি মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী ও চারুকলা অনুষদের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম লিমন তাঁকে ও নূরুল হককে হত্যার হুমকি দেন।