খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফল প্রত্যাখ্যান করেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। কেসিসি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসময় তিনি বলেন, এই নির্বাচন সর্বকালের ভোট ডাকাতির নতুন রূপ, নতুন সংস্করণ। নারী ভোট ডাকাত এখানে নতুন সংযোজন। ১০৫টি কেন্দ্রে ব্যালট ছিনিয়ে ভোট দেওয়া হয়েছে, ৪৫ টি কেন্দ্রে ভোটারদের আটকে দেওয়া হয়েছে। ভোট ডাকাতির অন্যতম দৃষ্টান্ত এটি। ভোট ডাকাতির এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তালুকদার আব্দুল খালেক।
তিনি আরও বলেন, তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে বনদস্যু, জলদস্যু, সন্ত্রাসী সবাই প্রকাশ্যে কাজ করেছে। এই অবস্থায় দায়িত্ব নিয়ে তিনি কীভাবে খুলনা মহানগরীকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, ভূমিদস্যুমুক্ত করবেন। আগামীতে খালেককে বোরকা পরে জনগণের সামনে বের হতে হবে, সেই পরিবেশই তিনি তৈরি করলেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার আব্দুল খালেক বেলছিলেন, মঞ্জুকে পাশে নিয়েই তিনি কাজ করতে চান। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জু বলেন, ‘প্ধান ভোট ডাকাত তিনি (খালেক)। তার পাশে থেকে সহযোগিতার কোনও মানসিকতাই আমার নেই। আমি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে। তবে বিএনপি প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের চরিত্র ফুটিয়ে তুলবে। আগামীতেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক না, যোগ্য না। বিজিবি, র্যাব ঘুমিয়ে ছিল। পুলিশ সক্রিয় ছিল। সকাল থেকে রিটার্নিং অফিসার ফোন রিসিভ করেননি। গতকালের ভোট ডাকাতি প্রমাণ করেছে সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়।
গতকাল মঙ্গলবার কেসিসিতে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হওয়া নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ৬৫ হাজার ৬০০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। তালুকদার খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট।