২৫০-৩০০ মিলিলিটার আখের রসে সাধারণত ১১১ ক্যালরি থাকে। এর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২৭ গ্রাম, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়াম থাকে ০.২৭ গ্রাম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাঝেমধ্যে শুধু ফলের জুস খেয়ে দিন পার করতে হয়। এতে দেহের বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায়। এই বিষমুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় আখের রস ব্যাপক কাজে দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ যারা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, আখ তাদের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয়। যদিও এতে আছে চিনি, তবুও দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই। দেহে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রত্যেকেরই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি দরকার হয়। এ কাজটির দায়িত্ব আখের রসের ওপর ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এক গ্লাস করে খেলে তা ওজন বাড়াবে না। তা ছাড়া আরো কয়েকটি কারণে আখের রস ওজন কমাতে সহায়তা করে। যেমন—
ফাইবারঃ ভক্ষণযোগ্য ফাইবার ওজন হ্রাসের কাজে খুবই দরকারি। বিভিন্ন ফল ও সবজি খেয়ে ভক্ষণযোগ্য ফাইবার গ্রহণ করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। এই উপাদান গ্রহণে হজমের সমস্যা থাকে না।
সুষ্ঠু বিপাকক্রিয়াঃ ওজন কমানো আসলে ক্যালোরি গ্রহণ ও বর্জনের খেলা। বিপাকক্রিয়ায় গতি জোগায় আখের রস। এতে করে দেহে শক্তির অভাব থাকে না।
হজমপ্রক্রিয়াঃ সুস্থ দেহের জন্য খাদ্যগ্রহণ ও রেচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আখের রসে ভক্ষণযোগ্য ফাইবারের প্রাচুর্য থাকায় পর্যাপ্ত বর্জ্য তৈরি হয়। ফলে দেহের রেচনপ্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে। এতে দেহ থাকে সুস্থ এবং সবল।
ফ্যাটবিহীনঃ আখের রসে প্রচুর চিনি আছে ঠিকই। কিন্তু এতে কোনো ফ্যাট নেই।