ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ সোমবার বেলা একটার দিকে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন করছেন তাঁরা। এতে শাহবাগ এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা বারবার আলটিমেটাম দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। আমরা একরকম বাধ্য হয়েছি। বাধ্য হয়েই শাহবাগে অবস্থান নিয়েছি। কোনো কমিটি নয়, আমরা সংস্কার চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করেছেন সেটাকেও সাধুবাদ জানাই। এখন দ্রুত প্রজ্ঞাপন চাই।’
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ চত্বরের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছেন কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। গাড়ি চারপাশ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আন্দোলনকারীরা অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার গাড়িগুলোকে ছেড়ে দিচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের হাতে প্ল্যাকার্ড রয়েছে। বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আজ বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ বিভাগে ক্লাস হচ্ছে না। প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ১৫০ জন ভলান্টিয়ার কাজ করছেন। এর বাইরে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তাঁরা দায় নেবেন না। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারী পেলে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন।
ঢাকার পাশাপাশি কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ডাকা ধর্মঘটের মধ্যে ষোলশহর স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁরা নানা স্লোগানে ষোলোশহর স্টেশন দখল করে রাখেন।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।