‘বিএনপি কৌশলে ব্যরিষ্টার মওদুদের মাধ্যমে মামলা করে। তারা চেয়েছিল সরকারকে বেকায়দায় ফালানোর জন্য। কিন্তু আমি সর্ব্বোচ্চ আদালতে আপিল করার পর আদালত সুবিবেচনা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে রায় দিয়েছে। বিএনপির কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি একটি মিথ্যাচার এবং অনিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় আসতে চায়। সেই হিসাবে আমি বিশ্বাস করি সত্যের জয় হয়েছে। আগামী ভোটের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে গাজীপুরের জনগণ আমাকে, নৌকাকে এবং আওয়ামী লীগকে ভালবাসে।
আগামী ২৬ জুন তারিখে লক্ষ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে নৌকার জয় হবে এবং ভোটের মাধ্যমেই জনগণ বিএনপির মিথ্যাচার ও দেশদ্রোহী যেসব কর্মকান্ড আছে তা প্রতিহত করবে।’ গতকাল রবিবার বিকেলে নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ছিল। মাঝপথে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম উচ্চ আদালতে আপিল করেন। একই সময়ে নির্বাচন কমিশনও আপিল করেন। আপিল বিভাগ আগামী ২৮ জুনের মধ্যে নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন। গতকাল ১৩ মে নির্বাচন কমিশন নতুন করে ২৬ জুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। নতুন করে নির্বাচণের তারিখ ঘোষণা করায় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীর এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. সফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মহিউদ্দিন মহি, মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক এবং রাজনীতিক কর্মী হিসাবে প্রতিবছরই পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও দুওয়া মাহফিলের আয়োজন করে থাকি। সেই অনুষ্ঠানগুলি বেশী বেশী করা হতে পারে। তাছাড়া প্রতিদিনই নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় অব্যাহত আছে। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক ১৮ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবো।
মিডিয়া সেন্টার
নৌকা মার্কা
১৩/০৫/২০১৮