ঢাকা:আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে কোটা বাতিলের বিষয়ে বললেন, এই বিষয়ে গেজেট প্রকাশের জন্য আন্দোলনের হুমকি—এটা সমীচীন নয়। শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবির ব্যাপারে সরকার সহানুভূতিশীল। যৌক্তিক সমাধানের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে। অনতিবিলম্বে তাঁরা সমাধান পেয়ে যাবেন। কোটা নিয়ে আন্দোলন করা, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা ঠিক না। এমনিতে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি তাঁরা (আন্দোলনকারীরা) ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন। পড়াশোনায় ফিরে যাবেন।’
আজ সকাল থেকে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করছেন।
কোটা নিয়ে আন্দোলন বিষয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে যদি কেউ রাজনীতি করতে চান, তাহলে ভিন্ন কথা। প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় আস্থা রাখা উচিত। বিশ্বাস করা উচিত। তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কোটার বিষয়টি ফয়সালা করে দিয়েছেন। কোটা থাকবে না। এরপর কখন গেজেট হবে, হলো কি হলো না—এটি নিয়ে চিন্তাভাবনাও আছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে, প্রতিবন্ধী আছে, অনুন্নত জেলা আছে, মুক্তিযোদ্ধা আছে, নারী আছে—এখানে সুসমন্বিত কিছু করার একটি চিন্তাভাবনা হচ্ছে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্দোলনকারীদের কাছে ৭ মে পর্যন্ত সময় নেন মন্ত্রী। এরপর আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক কমিটি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয় ১০ এপ্রিল। কিন্তু এরপরও আন্দোলনকারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যায়। পরে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরাও আন্দোলনে ফিরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করে আসছেন।