কেন অনেকের কাছে যৌন আচরণের সেন্সর প্রয়োজন

লাইফস্টাইল

image_160101.sexting-hসবকিছুতে যৌনতার ছোঁয়া থাকাটা সবাই মেনে নিতে চান না। কারণ অনেক ক্ষেত্রে সামান্য যৌন আবেদন, অনেক বাজে বিষয়ের চেয়েও খারাপ হয়ে ওঠে। যে সব দেশে যৌনতা বা যৌন আবেদনময়ী পোশাক কোনো ব্যাপার নয়, সে সব দেশেও সব ব্যাপারে যৌনতার ছড়াছড়ি অনেকেই পছন্দ করেন না।
আমেরিকার একটি আন্ডারওয়ার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপনে স্বল্পবসনা নারীদের ছবি দিয়েই সমালোচানার শিকার হয়। ভিক্টোরিয়ারস সিক্রেটস এর যৌন আবেদনময়ী লিঞ্জেরির ফ্যাশন শো বা বিজ্ঞাপনকে অনেকেই হালকা ধাঁচের পর্ন বলেই মনে করেন। এরা তাদের সেক্সি মডেলদের মতো দেহবল্লবী গড়ে তোলার জন্য খাদ্য তালিকাও দিয়ে দেয়। এই খাত্যতালিকা মেনে চলেন বহু নারী। এসব কারণে নারীরা সেক্সি লিঞ্জেরিতে খোলামেলা হওয়ার চেষ্টা করছেন।
ওদিকে, পশুদের বাঁচাতে একটি চ্যারিটি বিলবোর্ড টাঙিয়েই বিপদে পড়ে গেলো। তারা শ্লোগানে লিখেছে, ‘দেহে থেকে বের হয় এমন কিছু তরল আপনার জন্য ভালো নয়। এগুলো খাবেন না। ডেইরি ত্যাগ করুন’। একদিনের মধ্যে এই প্রচারণাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো অতিমাত্রায় যৌনতা থাকায়।
এ বিষয়টি বেশ অদ্ভুত। যেখানে একজন এসব গ্রহণ করছেন, সেখানেই আরেকজন এগুলো খুব খারাপ চোখে দেখছেন। মূলত দেহের কোন অংশগুলোকে যৌন আবেদনময়ী বলে মনে করা হয়। মানুষের মাঝে উপস্থাপন করা যাবে না, দেহের এমন কোন অংশগুলোকে চিহ্নিত করা যায়। পুলিশ এসব নিয়ে খুব বেশি মাথা না ঘামালেও সরকারের অন্যান্য সংস্থা রয়েছে। ক্রীড়া, সংস্কৃতি এবং মিডিয়ার নানা প্রতিষ্ঠান এগুলো নিয়ে লেগেই রয়েছে।
২০১৪ সালে অডিওভিজুয়াল সার্ভিসেস রেগুলেশনস এর মাধ্যমে ব্রিটেনে কিছু পর্নকে প্রদর্শন ও বিক্রির জন্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আবার যে সব পর্ন দেখানো যাবে না তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এই অনুমোদন অনেকেই মেনে নেননি। নারীদের চরম যৌন তৃপ্তি বাদ দেওয়ার তালিকায় নেই। কিন্তু একই ক্ষেত্রে পুরুষদেরটা রাখা হয়েছে। অথচ এই বিষয়টি নারীদের জন্যে বেশ লজ্জাজনক। আবার শিশুদের জন্যে বিষয়টি চিন্তার। এসব ছোট ছোট বিষয়ের কারণেই শিশুদের মাঝে পর্ন ছড়িয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে সেক্স নিয়ে মানুষের আচরণগত বিষয়গুলোও বদলে যাচ্ছে। তাই অনেকের কাছে এসব বিষয় মোটেও ভালো নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *