বিশ্ব আবহাওয়াবিদ্যা বিষয়ক সংস্থার (ডব্লিউএমও) মতে, একবিংশ শতাব্দীতে বৈশ্বিক উষ্ণতা ক্রমে বাড়ছে। ২০১৪ সাল ছিল এর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ। মুষলধারে বৃষ্টি, বন্যা, নজিরবিহীন গরম ও অতিশীত— সবই পরিলক্ষিত হয়েছে এ বছর। এ ধরনের বিরূপ আবহাওয়াকে শঙ্কাজনক মনে করছেন তারা। তার চেয়ে খারাপ বিষয় হলো, ২০১৫ সাল হবে উষ্ণতর।
গবেষকরা অতিমাত্রায় পৃথিবীর সম্পদ ব্যবহারকে এর জন্য দায়ী করছেন। উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষায় পৃথিবীবাসী এমন পরিস্থিতিকে অপরিহার্য করে তুলছে বলে তারা মত দেন। এ অসহনীয় আবহাওয়া থেকে রেহাই পেতে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে— বনায়ন বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার কমিয়ে আনা, গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস করা এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি যত কম করা যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
তারা মনে করছেন, ভয়াবহ কোনো বিপর্যয় থেকে নিষ্কৃতি পেতে প্রস্তুতি নেয়ার সময় ফুরিয়ে আসছে। সরকার, শিল্প-কলকারখানা কর্তৃপক্ষ, ভোগ্যপণ্য প্রস্তুকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিপর্যায়ের যৌথ উদ্যোগ পারে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়াকে এড়াতে। প্রতিবেশ টিকিয়ে রাখতে সবার আন্তরিক উদ্যোগকে তারা একমাত্র উপায় বলে মনে করেন।