বাড়ির মেয়েদের সংখ্যা জেনে সেই অনুযায়ী পতাকা ঝোলাচ্ছে আইএস

Slider সারাবিশ্ব

052844_bangladesh_pratidin_bd_pratidin_isis

ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়ত ভাবছেন আফগান সেনার সঙ্গে যৌথ অভিযানে আইএসের ঘাঁটিগুলির অধিকাংশই গুঁড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন সেনা। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা অনেকটাই আলাদা। নানগারহারের চেনা ঘাঁটি ছেড়ে এখন আফগানিস্তানের জৌঝান এবং দারজাব অঞ্চলে নতুনভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে আইএস।

নতুন দল গড়তে ভিন্ন ভিন্ন পন্থা নিচ্ছে তারা। আফগান যুব সমাজকে চাকরি, জিহাদ বা তাদের প্রেমিকাকে তাদের জীবনসঙ্গী করে দেওয়ার টোপ দিয়ে আনুগত্য কিনে নিচ্ছে আইএস। এব্যাপারে তাদের টার্গেটই হচ্ছে ২০ বছরের আশপাশে তরুণরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আধিপত্য বজায় রাখতে বাড়ি বাড়ি ঢুকে আইএস বাড়ির মেয়েদের সংখ্যা জেনে নিয়ে বাড়ির বাইরে সেই নির্দিষ্ট সংখ্যার পতাকা ঝোলাতে নির্দেশ দিচ্ছে। যেমন কোনও পরিবারে চারজন মেয়ে থাকলে চারটি পতাকা ঝোলাতে হবে। পরে তারা সেখান থেকে মেয়েদের অপহরণ করে যৌনদাসী করছে।

জৌঝানের পুলিস প্রধান ফকির মহম্মদ জৌঝানি বলছেন, ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৬০০ জন আইএস জঙ্গির মধ্যে সুদান, চীন এবং ফ্রান্স থেকে দেড়শোজন বিদেশি জঙ্গি যোগ দিয়েছে, যাতে উৎফুল্ল আইএস। এই বিদেশি জঙ্গিরা নতুন স্থানীয় জঙ্গিদের প্রশিক্ষক এবং পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছে। মার্কিন বিমান হানা থেকে বাঁচতে মাটির নিচে গভীর সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এবং পাহাড়ের পাথরের গায়ে গুহা তৈরি করে আত্মগোপন করে আছে তারা।

উল্লেখ্য ট্রাম্প গত বছরই বলেছিলেন, আফগানিস্তানকে জঙ্গিমুক্ত না করা পর্যন্ত সেখানে ১৬,০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকবে। গত কয়েক মাসে আইএসের উপর মার্কিন সেনা বিমান অভিযানও চালিয়েছে বহুবার। তা সত্ত্বেও হামলা থামায়নি আইএস। গত সোমবারই কাবুলে জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৯ জন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকসহ ২৯ জনের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *