বান্দরবানের সাংবাদিক জহির রায়হানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে।
রোববার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা এই কর্মসূচিতে কালো ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়।
শনিবার বিকেলে শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় সাংবাদিক জহির রায়হান মারাত্মক আহত হয়।
মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠন আরএসও’র সঙ্গে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে দৈনিক বীর চট্রগ্রাম মঞ্চে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর নেতা কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিনিধি জহির রায়হানের উপর হামলা চালায়।
জহির রায়হান বৈশাখী টেলিভিশনেরও জেলা প্রতিনিধি। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক ওসমান গনি, সাবেক সহসভাপতি বাদশা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাংবাদিক বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, উজ্জল তংচঙ্গা, সেলিম চৌধুরী, আবদুল মালেক, এস বাসু দাশ, আল ফয়সাল বিকাশ প্রমুখ।
সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা রনি দাশ, রাজু বড়ুয়া, সজল দাশ, মনা বাজুসহ ৫/৬ জনের একটি গ্রুপ সাংবাদিক জহিরের উপর কাঠের চেরা দিয়ে হামলা করে।
হামলায় জহিরের মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। হামলাকারীরা সেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা কর্মী বলে জানা গেছে।
শনিবার শহরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের প্রতিবাদ সমাবেশের একদিন পরই সাংবাদিক জহির হায়হানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো।