তৈরি পোশাক খাত নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া তিন দিনের অ্যাপারেল সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ- এটি অনেকের পছন্দ নয়। তাই তারা পোশাক খাতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।”
তিনি বলেন, “এই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে পোশাক কারখানার মালিক, শ্রমিক, বিদেশি ক্রেতা ও ভোক্তা- সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাজারে টিকে থাকার জন্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ক্রেতাদেরও পোশাকের ক্রয়মূল্য বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের পাশে থাকবে। কারণ তাদের কাছে বাংলাদেশের তৈরি পোশকই সেরা।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এ লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।”
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে পোশাক রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার বিষয়ে পোশাক উৎপাদন ও রফতানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএর লক্ষ্যকে স্বাগত জানান। এ ছাড়া পোশাক খাতের বাজার সম্প্রসারণে সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
পোশাক শ্রমিকদের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নসহ নানামুখী সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে দেশের পোশাক খাত। বিশ্ববাসীর কাছে এসব উন্নয়ন সরেজমিন তুলে ধরতে ঢাকায় আজ শুরু হয়েছে তিন দিনের সম্মেলন ‘অ্যাপারেল সামিট’।