স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: গাসিক নির্বাচনের আর মাত্র ১৩দিন বাকী। চলছে প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুললেই দেখা যায় প্রচারণার নমুনা। প্রার্থী ও কর্মীরা কখন কোথায় কি ভাবে প্রচারণা করছেন তার স্বচিত্র বা ভিডিও আকারেও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার লাইফও করছেন। এ সকল প্রচারণায় যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন তারাই শুধু পাচ্ছেন। আর যারা এই মাধ্যম ব্যবহার করছেন না, তারা কিছুই জানতে পারছেন না হালচাল।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অনেক কর্মী সারাদিনে ২/১ টি ছবি পোষ্ট করেই প্রচারণা সম্পন্ন করেন। অনেকে আবার পছন্দমত প্রার্থীদের ছবি ও প্রচারণার দৃশ্য নিজের ওয়ালে পোষ্ট দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছেন। কিন্তু যে সকল ভোটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন না, তারা কাকে সমর্থন করছেন, তা বুঝা যাচ্ছে না। তবে অধিকাংশ ভোটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাহিরে থাকায় তারা নির্বাচনী আমেজ উপভোগ করতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেয়র প্রার্থীরা অধিকাংশ ভোটারের কাছে পৌঁছতে পারছেন না। তবে কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনেক বেশী ভোটারের কাছে পৌঁছতে পারেছেন। কারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকা ছোট হওয়ায় তারা সহজেই ভোটারদের কাছে পৌঁছতে পারেন।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আমরা কারো কথায় ভোট দিব না। কেন্দ্রে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিব। কে ফেইসবুকে কি লিখল সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নয়।
এ ছাড়া জানা গেছে, অনেক প্রার্থী টাকার বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন। ওই সকল কর্মীরা দৈনিক পারিশ্রমিক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। তবে তাদের প্রচারণাও তেমন প্রভাব ফেলছে না। কারণ আজকের ভোটাররা অনেক সচেতন। তারা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিবেন এটাই স্বাভাবিক।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, প্রার্থীদের উচিত সাধ্যমত ভোটারদের নিকট পৌঁছানো। ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রচারণা করে তেমন সুবিধা হবে না।