আর মাত্র ১৪দিন: আত্মবিশ্বাসে ঘাটতির মাত্রা বাড়ছে ক্রমশ:

Slider টপ নিউজ বাংলার মুখোমুখি সারাদেশ

30715483_430488554078722_6687369568563757056_n

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর অফিস: গাসিক নির্বাচনে আর মাত্র ১৪দিন বাকী। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা অভিযোগ। নৌকার বিরুদ্ধে ধানের শীষের অভিযোগ,ধানের শীষের বিরুদ্ধে নৌকার অভিযোগ, আর নির্বাচন কমিশন ও নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো আসছে গুরুতর।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বিশদলীয় জোটের ৪৫ নেতা-কর্মী আটক হয়েছেন। গতকাল গাড়িতে ধানের শীষ রাখায় এক সমর্থকের ৫ হাজার টাকা জড়িমানা হয়েছে। একই সময় মুন্না নামে একজন বিএনপি কর্মীকে পুলিশ আটক করে। ধানের শীষের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ওই কর্মীর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় বসে পড়ার হুমকি দিলে পুলিশ আটককৃতকে ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া কয়েকদিন ধরে বিএনিপর দলীয় অফিসে পুলিশ মোতায়েন থাকায় নির্বচানী কর্মকান্ড অস্থায়ীভাবে একটি বাসায় চালাচ্ছে বিএনপি।

সম্প্রতি আওয়ামীলীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচন স্থানীয় লোকদের দিয়ে করাই ভাল। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল কথা। কিন্তু নির্বাচন যেহেতু জাতীয় প্রতীকে হচ্ছে সুতরাং জাতীয় নেতারা আসবেন এটাই স্বাভাবিক। এই কথার কারণে জাহাঙ্গীর আলম কোন ইঙ্গিত করলেন সেটা জানা নেই। তবে তিনি চান না বাইরের বা কেন্দ্রিয় নেতারা কেউ আসুক। জাতীয় প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় নেতাদের না চাওয়ার কারণ কোন অবিশ্বাস কি না সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। আবার দলীয় সভায় গুরুত্বপূর্ন নেতাদের অনুপুস্থিতি জাহাঙ্গীর আলমের কান্নাকে প্রভাবিত করছে কি না তা নিয়েও জল্পনা কল্পনা চলছে।

এদিকে ধানের শীষ প্রার্থীর স্বাদলীয় নেতা ও বর্তমান মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান নির্বাচনী প্রচারণায় আসছেন সেটা নিয়েও দলের ভেতরে অবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছে। ইদানিং মেয়র এম এ মান্নান সালনা এলাকায় এসেছিলেন। একটি মসজিদে নামাজও পড়েছেন। কিন্তু তিনি নীরবে চলে গেছেন। কেউ জানেন না। এই বিষয়ে বিএনপি বলছে, আচরণ বিধিতে নিষেধ থাকায় তিনি প্রচার করেননি। এটা যদি সঠিক হয়, তবে অধ্যাপক এম এ মান্নানের সঙ্গে একই মসজিদে হাসান সরকোরের নামাজ পড়াতে আচরণ বিধি লংঘন হত না। যেহেতু এটা হয়নি সুতরাং সাধারণ ভোটারদের মনে অবিশ্বাস জন্ম হতেই পারে যে, মান্নান-হাসান কি মিলেছেন, না,মিলার ভান করছেন।

এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ বিশদলীয় জোট প্রার্থীর প্রতি অন্যায় আচরণ করছে বলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে পুলিশ সুপারের প্রত্যাহারের দাবী করেছে বিএনপি।

ভোটাররা মনে করছেন, একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য সকল দল, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সংযত আচরণ নিশ্চিত করা উচিত। এতে দল বা জোট সুসংগঠিতভাবে ভোট যুদ্ধ করতে পারবে আর নির্বাচন কমিশন ও সরকার নিরপেক্ষতা প্রমান করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ করার বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *