বজ্রপাতে সারাদেশে ১৪ জনের মৃত্যু

Slider বিচিত্র

314378_123

সারাদেশে আজ বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন।

বাসস’র নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, জেলার পৌর এলাকার লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের নোয়াখালী জিলা স্কুলের দিবা-ক শাখার ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ইকবাল হাসনাত পিয়াল বজ্রপাতে মারা গেছেন। সে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. সোহেল রানা জগলু ও পারভিন আক্তারের বড় ছেলে। বাড়ির পাশে খোলা মাঠে ক্রিকেট খেলা শেষে বাড়ি ফেরা সময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, শাহজাদপুর ও কামারখন্দে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন-কাজিপুরের চরাঞ্চল ডিগ্রি তেকানী গ্রামের মৃত পারেশ মন্ডলের ছেলে শামছুল মন্ডল (৫৫) ও তার ছেলে আরমান (১৪), শাহজাদপুর উপজেলা ছয়আনি গ্রামের ফারুক খানের ছেলে নাবিল (১৭) ও রাশেদুল ইসলাম ছেলে পলিন (১৫) এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়া গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।
মাগুরা সংবাদদাতা জানান, মাগুরা সদর অক্কুর পাড়া ও রায়গ্রাম এবং শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরা হলেন- অক্কুর পাড়ার ভ্যানচালক শামীম, ব্লুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আলম ও জয়পুরহাটের মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মেহেদী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা জানান, জেলার আখাউড়ায় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রহিমের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায় বলে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তরফদার জানিয়েছেন।
নওগাঁ সংবাদদাতা জানান, জেলার সাপাহারে বজ্রপাতে গৃহবধূ সোনাভান (২৪) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতরা হলেন- সোনাভানের স্বামী রুবেল হোসেন (২৮), সালেহা বিবি (৪২) ও শিশু রাজু (১২)। আহতদের সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে জাফরুল ইসলাম (২০) নামে পোশাক কারখানার এক চেকম্যানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মনছুরা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মনছুরা বেগম বাঘাইছড়ি উপজেলার মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানায়।
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, জেলার সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে বজ্রপাতে লিটন মিয়া (৩০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
কৃষক লিটন সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমাদের সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় বজ্রপাতে পিতা-পুত্র ও কলেজ ছাত্রসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুই জন আহত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী বেষ্ঠিত তেকানী চরে বজ্রপাতে পিতা ও পুত্র নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানায়, কাজিপুর উপজেলার তেকানী চরে সকালে সামছুল হক (৫০) ও তার ছেলে আরফান (১৪) বাদাম ক্ষেতে কাজ করতে যায়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ প্রচন্ড ঝড়ের সময় বজ্রপাতে পিতা ও পুত্র ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এদিকে শাহজাদপুর উপজেলার ছয়আনা গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুকের ছেলে নাবিল খান (১৭) ও রাশিদুল হাসানের ছেলে পলিং (১৭) নামের দুই যুবক ঝড়ো বৃষ্টি হওয়ার সময় উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পোতাজিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। অপর দিকে একই উপজেলার বাজার অঞ্চলে বজ্রপাতে রিয়াজ হোসেন (১৮) ও সাব্বির আহত হয়েছে।

অপর দিকে কামারখন্দ উপজেলার পুস্কুরিকুড়া গ্রামে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে আব্দুল কাদের (৩৭) নামের এক কৃষক মারা যায়। নিহত কাদের হাসন উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের পুস্তককুড়া গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে কৃষক কাদের হোসেন বাড়ির পাশে ধান কাটতে মাঠে যান। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বজ্রপাতে তার শরীর ঝলসে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘাষণা করেন। কামারখদ উপজলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের মেডিকল অফিসার ডাঃ তানসিলা কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *