সাতক্ষীরায় গ্রেফতার আসামী পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন বলে দাবী করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোররাত চারটার দিকে সদর উপজেলার আঁগড়দাড়ি ইউনিয়নের আবাদেরহাট এলাকায় কথিত এই বন্দুকযুদ্ধের ঘঠনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম নবাব আলী মোল্লা (৩৮)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের মুজিত মোল্লার ছেলে।
পুলিশ বলছে, নবাব আলীর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি মামলা রয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে একটি পিস্তল, একটি গুলি, দুটি রামদা ও দুটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদের ভাষ্য, নবাব আলী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ। সাতক্ষীরা থানায় তাঁর নামে একাধিক মামলা থাকায় তাঁকে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে নবাব আলী অস্ত্রের তথ্য দেন। অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাঁকে নিয়ে পুলিশের একটি দল আজ ভোররাত চারটার দিকে আবাদেরহাট এলাকায় রওনা দেয়।
ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ আগে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়া হয়। আত্মরক্ষায় পুলিশও গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে ১৫ মিনিট ধরে গুলিবিনিময় চলে। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে নবাব আলী ও পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। নবাব আলীসহ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে নবাব আলীকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।