এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: এই প্রথম ঠাকুরগাঁওয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নবীন কনস্টেবলদের হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এছাড়াও কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকদের মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
শনিবার দুপুরে সদর থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুলিশ কনেস্টবলদের বরণ করে নেয়া হয়।
সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, এ বছরের ২০ মার্চ ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার জন নারী-পুরুষ পুলিশ কনেস্টবল পরীক্ষায় অংশ নেয়। জেলার ৫টি উপজেলায় ৯৮ জন নারী-পুরুষ পুলিশ কনেস্টবল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। এরমধ্যে সাধারণ কোটা (পুরুষ) ৫১ জন, সাধারণ কোটা (নারী) ৮জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা (পুরুষ) ২৫, মুক্তিযোদ্ধা কোটা (নারী) ৬জন, পুলিশ পোষ্য কোটা (পুরুষ) ৬জন, পুলিশ পোষ্য কোটা (নারী) ১জন, এতিম কোটা (নারী) ১জন।
ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ৯৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৩ জন। এরমধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ৬জন নারী পুলিশ কনেস্টবল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। নিঃসন্দেহে তারা অনেক মেধাবী । এজন্য আমরা নিজ উদ্যোগে এই ৩৩ জনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের মিষ্টি মুখ করিয়েছি। পরবর্তীকে জেলার ৯৮ জন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত নারী-পুরুষ পুলিশ কনেস্টবলকে বরণ করে নেয়া হবে। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৯৮ জন নারী-পুরুষ রংপুর ও রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করবে। এরপর তাঁরা দেশের সেবায় কাজ শুরু করবে। আমরা আশা করি তারা সবসময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
সদ্য পুলিশ কনেস্টবলে নিয়োগপ্রাপ্ত সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের মানিক চন্দ্র বর্মন বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। এর আগে জেলায় এ ধরনের আনুষ্ঠানিকতা কখনো হয়নি। এতে করে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি। এটি একটি ব্যকিক্রম উদ্যোগ পুলিশ প্রশাসনের। এজন্য তিনি জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
কনেস্টবলে নিয়োগপ্রাপ্ত শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার সোনিয়া বেগম বলেন, ট্রেনিং শেষে তিনি জনগণ ও দেশের সেবা সবসময় কাজ করবেন। পাশপাশি চাকুরী জীবনে তিনি সততার সঙ্গে কাজ করবে ।
পুলিশ কনেস্টবলদের বরণ করে নেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) রওশনারা আক্তার, ওসি তদন্ত (অপারেশন) কফিল উদ্দীন, এসআই শামীম, এসআই বাবুল প্রমুখ।