ঢাকা: রাখাইনের পরিস্থিতি এখনও চরম উদ্বেগজনক। এমন সতর্কতা জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার এ হুঁশিয়ারির ফলে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার আশা ক্ষীণ হতে পারে। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা ৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে আসছেন। তার আগে পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করেন ডুজাররিক।
তিনি বলেন, আমাদেরকে আমাদের মানবিকতা বিষয়ক সহকর্মীরা বলেছেন যে, এখনও রাখাইনের পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক াবস্থায় রয়েছে। উত্তর রাখাইন থেকে এখনও মানুষের দেশ ছেড়ে যাওয়ার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু রিপোর্টে বলা হচ্ছে, তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। জুলুম, চাঁদাবাজি করা হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একদল প্রতিনিধির আচ বিকালে পৌঁছার কথা কক্সবাজারে। সেখানে তারা সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করবেন। এরপর প্রতিনিধি দলটি উত্তর রাখাইনে অবস্থানরত কয়েক লাখ রোহিঙ্গার অবস্থা জানতে সেখানে যাবেন। এ বিষয়ে মিয়ানমারের মানবিক কর্মকা-ে জড়িত সহকর্মীদের উদ্ধৃত করে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, পুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘর ও পরিত্যক্ত গ্রামগুলোতে বুলডোজার চালিয়ে দেয়ার প্রমাণ রয়ে গেছে। রাখাইনে এখন প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গার বসত আছে। তারা ভীষণ বৈষম্য ও একপেশে অবস্থায় আছেন। তাদের চলাচলের স্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা আছে। স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের অধিকার মারাত্মকভাবে সীমিত করে দেয়া হয়েছে। স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আমাদের মানবিক কর্মীরা বলছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও টেকসই ফেরার আশা করা যায় না। এক্ষেত্রে রাখাইন এডভাইজরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন ডুজাররিক। তিনি বলেন, ওই কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ।