গাজীপুরে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপিকে সমর্থন জামায়াতের

Slider ঢাকা

312406_16

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগের দিন রোববার নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নানা গুজব শোনা গেছে। এদিন একাধিক প্রার্থী বিভিন্ন সংগঠণ ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের সমর্থন আদায়ের জন্য নানাভাবে জোর লবিংয়ের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। রোববার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জামায়াতের মহানগর শাখার আমীর এস এম সানাউল্লাহ দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এদিন তিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে তার বাসায় সাক্ষাত করে সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থনে মহাজোটের শরিক জাসদ মনোনীত অপর মেয়র প্রার্থী রাশেদুল হাসান রানার মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয় নিয়ে দিনভর নানা গুজব শোনা গেছে। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থনের ব্যাপারে তিনি বিকেল পর্যন্ত দলের হাই কমান্ডের কোনো নির্দেশ পাননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম সানাউল্লাহ, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ২৮ নং ওয়ার্ডের ডা. আজিজুর রহমান ও ৩৭ নং ওয়ার্ডের সাদ্দাম হোসেন তন্ময় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এনিয়ে এ পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী একজন ও সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী ৩ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে প্রার্থীরা বিজয়ী হতে তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোটের হিসাব নিকাশ করে নানা পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে ব্যাস্ত দিন কাটিয়েছেন। এ নির্বাচনের প্রার্থীতা (মনোনয়নপত্র) প্রত্যাহারের শেষ দিন সোমবার (২৩ এপ্রিল)। এ দিনটিকে সামনে রেখে তারা বিভিন্ন সংগঠন ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীদের সমর্থন আদায়ের জন্য নানাভাবে জোর লবিং চালিয়েছেন। এতে তারা সুফলও পেয়েছেন। যা নির্বাচনের জয়লাভে অনেকটা প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগের দিন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিশ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের মহানগর শাখার আমীর এস এম সানাউল্লাহ দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এদিন তিনি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সঙ্গে তার বাসায় সাক্ষাত কনে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন। এসময় তিনি ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে দলের সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে এবং প্রার্থীর জন্য ভোট চাইতে ভোটারদের ঘরে ঘরে যেতে অনুরোধ করেন।

এসময় গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. খায়রুল আনাম, নায়েবে আমির মো. জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সেক্রেটারি মো. আফজাল হোসাই, মহানগর ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি ফখরুল আলম সিফাতসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটির নেতৃবৃন্দসহ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, টঙ্গী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম শুক্কুর, গাজীপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ বলেন, আমার সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদের প্রার্থিতা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম এবং ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে আলহাজ হাসান উদ্দিন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করলাম।

তিনি আরো বলেন, আমাকে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদানের জন্য মহানগর উন্নয়ন পরিষদের নেতা-কর্মীবৃন্দ, আইনজীবী ভাইরা, সাংবাদিক বন্ধুরা, ছাত্র ও তরুণ সমাজ, ব্যক্তিগত শুভানুধ্যায়ী, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু মহল সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর নগরবাসীর যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছি এটা আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি। সংগঠনের নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও নগরবাসীর সাথেই ছিলাম, আছি এবং এখন থেকে আরো নিবিড়ভাবে থাকবো, প্রিয় নগরবাসীর স্বপ্ন পূরণে জীবনের সবটুকু সামর্থ্য বিলিয়ে দিয়ে হলেও এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণ বিবেচনায় বিশ দলের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকারকে বিজয়ী করতে কাজ করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় আলহাজ হাসান উদ্দিন সরকার অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহকে বুকে আলিঙ্গন করে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, জামায়াতের সমর্থন পেয়ে আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াত প্রার্থী অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর এ ত্যাগের কথা আমি কোনদিন ভুলবো না। নির্বাচিত হলে তাকে সাথে নিয়েই আধুনিক গাজীপুর গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ। তিনি মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে বলেন, ২০ দল যখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছি আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে যৌক্তিক ছাড় দিয়ে জোটবদ্ধ ভাবে প্রার্থী দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, সিটি নির্বাচনে জামায়াতের সমর্থনের কথা মনে রেখে আমরা ভবিষ্যতে এর যথার্থ মূল্যায়ন করবো। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কেন্দ্রিয় নেতা আলহাজ সালাউদ্দিন সরকার, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক জামালউদ্দিন, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি খায়রুল হাসান, টঙ্গি থানা বিএনপির সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম শুক্কুর, মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন, ছাত্রশিবিরের নগর সভাপতি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এদিকে বিকেল ৫ টায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ সময় তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। নির্বাচন কর্মকর্তাগণও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় প্রার্থীর প্রস্তাবক আফজাল হোসাইন, সমর্থনকারী মোঃ লেহাজ উদ্দিন মোড়ল, মহানগর উন্নয়ন পরিষদ নেতা ছাদেকুজ্জামান খান, আশরাফ আলী কাজল, মনির হোসাইন খান, মোঃ মুহিউদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ, আইনজীবী নেতা এডভোকেট শামীম মৃধা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে গাজীপুর মহানগর উন্নয়ন পরিষদের প্রার্থী অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর প্রধান নির্বাচন পরিচালক মোঃ খায়রুল হাসান এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য নগর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে গাজীপুর মহানগর উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামার পর থেকে ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচারণার মাধ্যমে গাজীপুর নগরবাসী এবং দেশবাসীর আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। কর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা, বিভিন্ন মিডিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা, জামায়াতের প্রতি গাজীপুর নগর ও দেশবাসীর সহানুভূতি ও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু দেশ ও জাতির বৃহত্তর প্রয়োজনে ২০ দলীয় জোটের পক্ষে কেন্দ্রীয় জামায়াতের সিদ্ধান্তক্রমে আমাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব হাসান উদ্দীন সরকারকে ধানের শীষ প্রতীকে আমরা সমর্থন ব্যক্ত করেছি। আমরা মনে করি আমাদের এই সমর্থন গণতন্ত্রের মুক্তি, জুলুম-নির্যাতনের অবসান ও সুন্দর গাজীপুর নগর গড়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে গাজীপুর মহানগর উন্নয়ন পরিষদ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহর দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ২০ দলের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনা আগামী দিনের জোটগত রাজনীতিতে আমাদের দল ও ব্যক্তির ত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতে এর যথার্থ মূল্যায়ন করা হবে বলে প্রত্যাশা করি।

এদিকে ২০ দলের ঐক্যবদ্ধ মেয়র প্রার্থী ঘোষণার খবরে সমগ্র নগরীতে জোট কর্মীদের মাঝে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে জোট প্রার্থীর বিপুল বিজয় হবে বলে তারা মনে করছে।

এছাড়াও গাজীপুর জেলা হেফাজতে ইসলাম এর যুগ্ন সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন, জেলা যুব জমিয়তের সভাপতি হাফেজ শাহ আলম, জেলা জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মূসা কালিমুল্লাহ, জেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মুফতি শাহাদাত হোসেন প্রমুখ নেতারা হাসান উদ্দিন সরকারের বাসায় গিয়ে তাকে সমর্থন দেন এবং ২০ দলীয় জোটের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন।

অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রোববার দুপুরে ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় গাজীপুর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নির্বাচনী নানা কৌশল নিয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ মোহর আলীর সভাপতিত্বে সাবেক সাংসদ মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার জননেতা কাজী মোজাম্মেল হকসহ মহানগরের ৫৭ ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, এমদাদ হোসেন, আব্দুল হামিদ, মোঃ লিয়াকত আলী, এ্যাড. জালাল উদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাতেম আলী, মোঃ মোজাফফর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধারা শেখ হাসিনার মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে সমর্থন জানান।

এসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম মোকছেদ আলম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থন জানিয়ে মহাজোটের শরিক জাসদ মনোনীত অপর মেয়র প্রার্থী রাশেদুল হাসান রানা তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন- এমন সংবাদ দিনভর শোনা গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। নানা গুজবের একপর্যায়ে তিনি চান্দনা এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থিকে সমর্থনের ব্যাপারে বিকেল পর্যন্ত দলের হাই কমান্ডের কোনো নির্দেশ পাওয়া যায়নি। ফলে তিনি এখন পর্যন্ত মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামান জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (২৩ এপ্রিল) প্রার্থিতা (মনোনয়নপত্র) প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ২৪ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে। এবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর হতে এটি হবে দ্বিতীয় নির্বাচন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *