অবৈধ অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও সাঈদ আজমল যেখানে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ প্রাথমিক দলে জায়গা পেয়েছেন, একই দিন বাংলাদেশের ঘোষিত ৩০ জনের দলে নেই সোহাগ গাজী। আজমলকে শুদ্ধ অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েই তবে চূড়ান্ত দলে জায়গা পেতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হলে একই শর্ত সোহাগের জন্যও প্রযোজ্য। বিসিবি হয়তো সোহাগকে এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে আনার মতো উপযুক্ত মনে করছে না। এ কারণেই বিশ্বকাপ দলে নেই তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে আর কোনো চমক নেই। নতুন অন্তর্ভুক্তি কেবল পেসার মোহাম্মদ শহীদ। ২০১১ বিশ্বকাপের ছয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল, জুনায়েদ সিদ্দিকী, নাজমুল হোসেন, রকিবুল হাসান, শাহরিয়ার নাফীস ও সোহরাওয়ার্দী শুভ জায়গা পাননি এবার।
বিসিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোহাগের ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে প্রাথমিক দল প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমদ বলেছেন, এ মুহূর্তে আমাদের হাতে থাকা সেরা ৩০ জনই নির্বাচন করেছি। প্রতিটি অবস্থানে যাতে বিকল্প থাকে, সে দিকেই গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ বিশ্বকাপ লম্বা সময় ধরে চলা একটি টুর্নামেন্ট। সব দিক দিয়েই আমাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলের খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়েছে গত ছয়-সাত মাসে ঘরোয়া ও জাতীয় দলে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে, সে কথাই জানালেন প্রধান নির্বাচক। ফারুক জানিয়েছেন, তরুণ ও অভিজ্ঞের দারুণ মিশেল আছে দলটিতে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন প্রসঙ্গে ফারুকের মন্তব্য, বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের প্রতিটি দলের জন্যই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন চ্যালেঞ্জের হবে। সেখানকার কন্ডিশন আমরা এখানে তৈরি করতে পারব না। এ কারণে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই আমাদের খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রাথমিক দল :
মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ, শামসুর রহমান, তামিম ইকবাল, মুক্তার আলী, মার্শাল আইয়ুব, রুবেল হোসেন, এনামুল হক, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ ইলিয়াস, আরাফাত সানি, জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, শুভাগত হোম, আবদুর রাজ্জাক, নাঈম ইসলাম, ইমরুল কায়েস, জুবায়ের হোসেন, আল আমিন হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ।