ইলিশ উন্মাদনা কমেছে

Slider বাংলার সুখবর

b9cf7b2099f107e76cd9f829500de695-5acf9b87155a4

ঢাকা: দুটি ইলিশ এক হাতে উঁচু করে দেখিয়ে কামরুজ্জামান বললেন, ‘বিক্রি কইমা গেছে, দামও কম।’ গলায় ছিল হতাশার সুর। তাঁর ভাষায়, এখন আর কেউ আগের মতো পয়লা বৈশাখে ‘দৌড়াইয়া’ ইলিশ কেনে না। তবে এ ঘটনাকে কিছুটা স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন ইলিশ উৎপাদন ও গবেষণার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সচেতন লোকজন। তাঁদের মতে, দু-তিন বছর ধরে বৈশাখে ইলিশবিরোধী প্রচার ধীরে ধীরে হলেও সফলতা পাচ্ছে। ইলিশ রক্ষার প্রয়োজনে সচেতন অনেকে এখন বৈশাখে ইলিশ মাছ কেনা থেকে বিরত থাকছেন।

বৈশাখ ঘিরে আগের চেয়ে ইলিশের উন্মাদনা কমলেও একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে তা কিন্তু নয়। পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে বাজারে ইলিশ উঠছে, বিক্রি হচ্ছে, অভিযানে ধরা পড়ছে নিষিদ্ধ জাটকাও।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আশির দশকে হঠাৎ করেই পান্তা-ইলিশ খাওয়ার চল শুরু হয়। শহুরে ‘এলিট শ্রেণি’ ছিলেন এই চল শুরুর পেছনে। পরে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এর আগে পান্তার সঙ্গে ডিম ভাজার প্রচলন ছিল বেশি। পরে ডিমের জায়গায় জাতীয় মাছ ইলিশকে স্থান দিলে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করে। এই শ্রেণি পয়লা বৈশাখের দিন রমনায় পান্তা-ভাত, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ ভাজা, ইলিশ আর পেঁয়াজ ভাজা নিয়ে হাজির হন ভোরবেলা। মাটির সানকিতে করে তা খাওয়া শুরু হয়। পরের বছরগুলোতে এর সঙ্গে যুক্ত হয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পয়লা বৈশাখে রমনায় শিক্ষার্থীরা পান্তা-ইলিশ দেদার বিক্রি করেন। ক্রমেই তা মধ্যবিত্তের পয়লা বৈশাখ উদ্‌যাপনে ‘অপরিহার্য’ হয়ে দাঁড়ায়। স্থান পায় পাঁচতারকা হোটেলের বৈশাখ মেন্যুতেও। এই সময়ে ইলিশের উৎপাদন কম থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় অস্বাভাবিকভাবেই দাম চড়তে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *