পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শুক্রবার বামফ্রন্ট ও সহযোগী কয়েকটি দলের ডাকা ৬ ঘণ্টার হরতালে এখনও পর্যন্ত কোন প্রভাব পড়েনি। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বাধা এবং মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের জন্য ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস হুমকি দিচ্ছে-এই অভিযোগ তুলে বাম ও সহযোগী দলগুলি সাধারণ হরতালের ডাক দেয়। হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু কলকাতাসহ রাজ্যের জেলা শহর কিংবা মহুকুমা শহরগুলিতে তার কোন প্রভাবই পড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ছবির কোন পরিবর্তন হয় কি না সেটাই দেখার।
কলকাতার ধর্মতলা, রুবির মোড়, গড়িয়া, হাজরা, বেহালা, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজারসহ সর্বত্র যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র বলে পরিচিত ‘সেক্টর ফাইভ’-এও অন্য দিনের মতো ব্যস্ততা চোখে পড়েছে। শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকেও এদিন সকাল থেকে প্রতিটি ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ে। তাতে অফিস যাত্রীদের উপস্থিতিও ছিল। কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও বিমান ওঠা-নামায় স্বাভাবিকতা ছিল। এদিকে হরতালকে ঘিরে কোন রকম অশান্তি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও বামেদের ডাকা হরতালকে ব্যর্থ করতে এদিন যথেষ্ট সক্রিয় সরকার।
কলকাতা লাগোয়া হাওড়া জেলায় জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন সেবা স্বাভাবিক। সরকারি ও বেসরকারি বাসও স্বাভাবিক চলছে, হাওড়া স্টেশনের বাইরে প্রি-পেইড ট্যাক্সি বুথেও স্বাভাবিক ছবি লক্ষ্য করা গেছে।
বামেদের ডাকা হরতালে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল, রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলেও কোন প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে স্বাভাবিক গতিতেই শিল্পাঞ্চলের কারখানা থেকে বাজার-দোকান খোলে। প্রতিদিনের মতো ট্রেন-বাস চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়াও কোচবিহার, হুগলী, পুরুলিয়া, নদীয়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, বীরভূমসহ রাজ্যের জেলাগুলিতেও এখনও পর্যন্ত হরতালের কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। এদিকে হরতালের সমর্থনে এদিন রাজ্য জুড়েই একাধিক জায়গায় যেমন দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বামেদের পথে নামতে দেখা গেছে। হরতালের বিরোধিতায় শাসকদলকেও মিছিল করতে দেখা গেছে।