তারা দুজনই সুন্দরী ছাত্রলীগ নেত্রী। তাই তাদের সমাদর শীর্ষ নেতাদের কাছে একটু বেশিই। অন্যরা যেখানে ঘেষতেই পারেন না ছাত্রলীগকে ‘ভাইলীগ’ বানানো সাইফুর রহমান সোগাহ এবং এস এম জাকির হোসেনের ধারেকাছে। সেখানে তাদের অবাদ যাতায়াত।
প্রতিটি সভা সমাবেশ, মিছিলের প্রিয় মুখ ছাত্রলীগের এই দুজন সুন্দরী নেত্রী। একজন সুফিয়া কামাল হলের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইফফাত জাহান ইশা। মধ্য রাতে গুজবের ওপর ভর করে প্রিয় ভাই লীগের নেতারা কোনো তদন্ত ছাড়াই বহিষ্কারকরার পেছনে কি কারণ কাজ করেছে তা নিয়ে আজ বুধবার সারাদিনই ছাত্রলীগে চলেছে নানামূখী গুঞ্জন।
তবে কি তিলোত্তমার ক্ষোভের আগুনে পুড়ল এশার কপাল? একটি গুঞ্জন সবচেয়ে বেশি ছাত্রলীগের মধ্যে চলছে যে, ইশা আগামী সম্মেলনে প্রতিদ্বন্ধী মনে করে একই হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটির উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার। যিনি বরিশাল অঞ্চল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছেন ঢাবিতে এবং কেন্দ্রীয় কমিটিতে। কিন্তু তিনি একজন শীর্ষ নেতার সরাসরি আর্শিবাদপুষ্ট বলে দাবি করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রীর রগ কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি ইশা, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লেও সহকর্মীর জন্য বিন্দুমাত্র আবেদন নিয়ে তার সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। তিনি নিজের রুমে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে লুকিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে। অপর দিকে ইশাকে বহিষ্কার করার সাথে সাথেই সেই তদন্তহীন বহিষ্কারাদেশের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে দেন।
এদিকে, সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তিলোত্তমা শিকদার এবং ইফফাত জাহান ইশা ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চরম খারাপ ব্যবহার করতেন। কাল সুযোগ পেয়ে সভাপতিকে মারধর ও জুতার মালা পরিয়েছে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। সাধারণ ছাত্রীদের দাবি, ‘তিলোত্তমাকে কাল ভাগে পেলে বাটাম দেয়া হতো। ওদের মতো অহংকারীদের কারণেই ছাত্রলীগের এই দুরবস্থা। ’